কুবির পা ১৪-তে: সাফল্য অনেক, ভারি ব্যর্থতার পাল্লা
- শাহাদত বিপ্লব, কুবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৭ মে ২০১৯, ০৬:১৬ PM , আপডেট: ০৮ জুন ২০১৯, ০৭:৪৯ PM
যতদূর চোখ যায় ছোট-বড় পাহাড়ের হাতছানি। তার মাঝে সবুজ গাছগাছালি যেন পাহাড়ের সেই সৌন্দর্য কে শতগুন বাড়িয়ে দিয়েছে। চারদিকে পাখির কিচিরমিচির শব্দ হৃদয় ছুঁয়ে যাবে। লালমাটির এই পাহাড়গুলো লালমাই পাহাড় নামে পরিচিত। আর এ পাহাড়গুলোর পাদদেশ ঘিরেই মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে মধ্য-পূর্বাঞ্চলের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টির অনুষদ এবং হলগুলো পাহাড়ের উপর আকাশের দিকে মুখ করে দাঁড়ানো। ২০০৬ সালের ২৮ মে দেশের ২৬তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।
সাফল্য, অপূর্ণতা এবং সম্ভাবনা নিয়ে আজ মঙ্গলবার পাহাড় ও সমতলের সম্মিলনে শিক্ষালয়টি ১৪ বয়সের ঘরে পা রাখছে। ইতোমধ্যেই সকল অপ্রাপ্তি ও বিস্তর আশার আলোর স্বপ্ন নিয়ে এ বিদ্যাপীঠ থেকে ৬/৭ টি ব্যাচের প্রায় চার হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন পর্বের শেষ করেছেন। ছড়িয়ে পড়েছেন দেশ ও মানবকল্যাণে। ২০১৭ পর্যন্ত ১৯জন শিক্ষার্থী অর্জন করেছেন প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক। নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের পদে আসীন হয়েছেন ১৬ জন প্রাক্তন শিক্ষার্থী।
৭ম-৮ম শতাব্দীর দিকে জ্ঞানচর্চার আতুড়ঘর ছিল এ ময়নামতি শালবন বিহার। ১৯৬২ সালে কুমিল্লায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হওয়ার কথা থাকলেও সেটি চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আত্মপ্রকাশ পায়। ২০০৬ সালে ৫০ একর জমির উপর ৩০০ জন শিক্ষার্থী আর ১৫ জন শিক্ষক নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় পাহাড় আর সমতলের এ বিদ্যাপীঠ। বর্তমানে ছয়টি অনুষদের অধীনে মোট ১৯ টি বিভাগে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। অধ্যায়ন করছেন প্রায় সাড়ে ছয় হাজার শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের মাঝে জ্ঞান বিতরণ করছেন ২২৪ জন শিক্ষক। শিক্ষার্থীদের থাকার জন্য রয়েছে চারটি আবাসিক হল।
ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীদের আড্ডায় প্রাণবন্ত থাকে সারাক্ষণ। ক্যাম্পাসের কাঁঠালতলা, বৈশাখী চত্বর, শহীদ মিনার, সানসেট ভ্যালি, বাবুই চত্বর, লালন চত্বর এবং ক্যাফেটেরিয়ার আড্ডা যেন রোজকার নিয়ম। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোও ধাপে ধাপে এগিয়ে যাচ্ছে। ডিবেটিং ক্লাব, সায়েন্স ক্লাব, বিএনসিসি, সাংবাদিক সমিতি, থিয়েটার, প্রতিবর্তন, প্লাটফর্ম, আইটি সোসাইটিসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এতে করে শিক্ষার্থীরা একাডেমিক পড়াশুনার পাশাপাশি নিজের প্রতিভাকে বিকশিত করার সুযোগ পাচ্ছেন।
গেল বছর ১ হাজার ৬শ’ ৫৫ কোটি ৫০ লাখ টাকার একটি প্রকল্প গেল বছর অনুমোদন পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। প্রকল্পটির নতুন ভূমি অধিগ্রহণে বর্তমান ক্যাম্পাস থেকে প্রায় ১ দশমিক ২ কিমি (প্রশাসনের মতে) দূরে রাজারখলা গ্রামে ২০০ দশমিক ২২ একর জায়গা নেয়া হবে।
নবীণ এ বিশ্ববিদ্যালয় গৌরব এবং অপূর্ণতা নিয়ে ১৩ বছর পার করলেও প্রাণের এ ক্যাম্পাসকে ঘিরে অনেক স্বপ্ন শিক্ষার্থীদের। স্বপ্নজাল বুনতে বুনতে বিভিন্ন অপূর্ণতা অনুভব করেন শিক্ষার্থীরা। ১৩ বছর পরও নানা সমস্যা আর অপূর্ণতার বেড়াজালে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। বিশ্ববিদ্যালয়ে অপূর্ণাঙ্গ গ্রন্থাগার, গবেষণায় অবহেলা, চরম আবাসন সংকট, প্রকট সেশন জট, অপরিকল্পিত অবকাঠামো উন্নয়ন, হলে ক্যান্টিন না থাকা, ফটক না থাকাসহ নানা সংকটে এখনও নিমজ্জিত রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখনও কোন সমাবর্তন হয়নি। অডিটোরিয়াম নেই। রয়েছে শিক্ষক এবং শ্রেণীকক্ষ সংকটও।
১৩ বছরেও মেটেনি গেইটের আক্ষেপ: ১৪ বছরে পা দিলেও বিশ্ববিদ্যালটির শিক্ষার্থীদের অন্যতম আক্ষেপ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসের সামনে নেই কোন সুদর্শন ফটক। এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা বেশ কয়েকবার আন্দোলন করলেও তা অধরাই থেকে যায়। এছাড়া কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পথে বেলতলী বিশ্বরোডে যে একটি ফটক রয়েছে সেটির যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বেহাল দশা। ফটকটিতে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নামফলকের কয়টি অক্ষরদীর্ঘদিন ধরেই নেই। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী দেশ রুপান্তরকে জানান, ‘মেগা প্রকল্পের টাকা আসলেই প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য দৃষ্টিনন্দন একটি মূল ফটক নির্মাণ করা হবে।
হলে ক্যান্টিনের ব্যবস্থা নেই: বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে ক্যান্টিনের ব্যাবস্থা নেই। মেস পদ্ধতিতে হলের খাবারে উচ্চমূল্য, অপরিচ্ছন্নতা, বাবুর্চিদের মানসম্মত রান্নায় অদক্ষতাসহ পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা না থাকায় বিপাকে রয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া হলগুলোতে বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাবারে ভর্তুকি নেই।
সেশনজট নিরসনে ব্যর্থতা: প্রতিষ্ঠার তেরো বছরেও সেশন জটের অভিশাপ থেকে বের হতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয়টি। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ, আইসিটি, সিএসই, রসায়ন, ফার্মেসী, নৃবিজ্ঞান, লোক প্রশাসন, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগসহ কয়েকটি বিভাগের প্রায় বেশ কয়েকটি ব্যাচই চরম সেশনজটের কবলে রয়েছে। এই সেশন জটের কারণে অধিকাংশ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর শেষ করতে নির্ধারিত সময়ের এক থেকে দুই বছরের বেশি সময় লাগছে। চলতি বছরই মোট ১৬৭ দিনই বন্ধ থাকবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি)। এছাড়া শিক্ষকদের আন্তরিকতার অভাব, আন্দোলন এবং অপ্রীতিকর অবস্থার কারণে বিভিন্ন বিভাগে সেশনজট চরম আকার ধারণ করছে। তেরো বছর পরেও সেশনজট নিরসনে ব্যার্থ হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
গড়ে উঠেনি পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থাগার: বিশ্ববিদ্যালয়ের মত উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা এবং গবেষণা কার্যক্রম যথাযথভাবে পরিচলালনার জন্য গ্রন্থাগার খুবই গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। কিন্তু প্রতিষ্ঠার ১৩ বছরেও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে উঠেনি কোন পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থাগার। বিশ্ববিদ্যালয়য়ের প্রশাসনিক ভবনের পঞ্চম তলার দুটো কক্ষ কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রয়োজনীয় বইয়ের স্বল্পতা এবং স্বতন্ত্র ভবন না থাকায় প্রশাসনিক ভবনের পঞ্চমতলার মাত্রুটি কক্ষ নিয়ে নামমাত্র সুযোগ-সুবিধা দিয়ে চলছে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের কার্যক্রম। গ্রন্থাগারটির দুইটি কক্ষ মিলিয়ে ৯০ জন শিক্ষার্থীর আসনের ব্যবস্থা রয়েছে। যা একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের তুলনায় খুবই নগন্য। সাপ্তাহিক ছুটির দিনসহ প্রতিদিন সকাল আটটা থেকে রাত আট পর্যন্ত খোলা রাখা ও স্বতন্ত্র ভবন নির্মানের দাবি বহু দিনের হলেও এ বিষয়ে প্রশাসনের কোন উদ্যোগ নেই বলে জানান শিক্ষার্থীরা। প্রয়োজনীয় এসব সুযোগ সুবিধার অভাবে গ্রন্থাগারের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছেশিক্ষার্থীরা।
আবাসন সুবিধার বাইরে ৮৫ ভাগ শিক্ষার্থী: প্রতিষ্ঠার ১৩ বছর শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯টি বিভাগে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ছয় হাজার। কিন্তু তার বিপরীতে আবাসিক হল রয়েছে মাত্র চারটি। জানা যায়, এ চার হলের স্বাভাবিক ধারণ ক্ষমতা আট থেকে নয় শত শিক্ষার্থীর। শিক্ষার্থীর হারের সাথে পাল্লা দিয়ে আবাসিক হলের সংখ্যা না বাড়ায় বর্তমানে প্রায় ৮৫ ভাগ শিক্ষার্থীই আবাসিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। মেয়েদের জন্য নতুন করে শেখ হাসিনা হল নির্মাণ এবং ছেলেদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সম্প্রসারণ কাজ চললেও তা চলছে ধীর গতিতে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এস.এম শহিদুল হাসান দেশ রুপান্তরকে বলেন, ‘ হল গুলো নির্মাণের জন্য ঠিকাদারদের যে সময়সীমা ছিলো তা শেষ। নতুন করে তারা চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় চেয়েছে।’ এদিকে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্যও আবাসিক ব্যবস্থা অপ্রতুল।
গবেষণায় অবহেলা: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে চরম অবহেলার শিকার গবেষণা খাত। অর্থ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে গবেষণা খাতে ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যেখানে শিক্ষকদের গবেষণার জন্য ১৫ লাখ টাকা ও ছাত্র-শিক্ষক একত্রে ৩৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। যা মোট বাজেটের মাত্র ১.৩ শতাংশ টাকা। বাজেট কম হওয়ায় গবেষণা চালিয়ে নিতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
হয়নি সমাবর্তন, নেই অডিটোরিয়াম: বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন সেন্ট্রাল অডিটোরিয়াম নেই। একারণে বড় কোন সেমিনার কিংবা অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে খোলা আকাশের নিচেই একমাত্র ভরসা। এছাড়া প্রায় ৭ থেকে ৮টি ব্যাচ স্নাতক শেষ করলেও এখনও কোন সমাবর্তনের আয়োজন করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয়টি। এ বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘আমরা সমাবর্তনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। প্রেসিডেন্ট যখন সময় দিবেন। হয়ত এ বছরের শেষে কিংবা আগামী বছর আমরা সমাবর্তনের আয়োজন করতে পারবো।’
শ্রেণীকক্ষ সংকট: ১৩ বছর পরেও বিশ^বিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে রয়েছে শ্রেণীকক্ষ সংকট। কোন কোন বিভাগে ৭ থেকে ৮টি ব্যাচ চলমান থাকলেও মাত্র ১টি কিংবা ২টি শ্রেণীকক্ষ রয়েছে। এতে ক্লাস পরীক্ষার সময় বিপাকে পড়তে হয় শিক্ষার্থীদের।
নিজ ক্যাম্পাসে বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা: নিজ ক্যাম্পাসে শিক্ষক-কর্মকর্তা নিয়োগে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। তাদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক ও বিভাগে সর্বোচ্চ রেজাল্টধারী হয়েও শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন না। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত মোট ১৯জন শিক্ষার্থী প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক পেয়েছেন। তবে এর মাঝে শিক্ষক হয়েছেন মাত্র ৫জন। পড়াশোনা শেষ করে নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়েছেন ১৬ জন শিক্ষক। এছাড়া কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চেয়ে জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ভুক্ত কলেজ কিংবা অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীদেরকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শাহরিমা আলম বলেন, ‘জ্ঞান অর্জনের স্বর্ণসময় বিশ্ববিদ্যালয় পর্ব। কিন্তু তার জন্য প্রয়োজন বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে গবেষণায় সমৃদ্ধি। তবে তা থেকে অনেকটা বঞ্চিত আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। যার কারণে পুথীগত বিদ্যা আমাদের একমাত্র অবলম্বন হয়ে পড়েছে। আর তা থেকে মুক্তির আমাদের একমাত্র মাধ্যম গবেষণাধর্মী শিক্ষা ব্যবস্থা।’
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর শেষ করা শিক্ষার্থী আদনান কবির সৈকত বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য যে মেগা প্রকল্প অনুমদিত হয়েছে, সেটির সঠিক বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় একটি আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে, আজকের এই দিনে এটিই আমারা মত সাধারণ শিক্ষার্থীদের চাওয়া। অনেক অনেক শুভকামনা, শুভ জন্মদিন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকট নিরসনে আমাদের মানসিকতা প্রয়োজন। মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে। মেগা প্রকল্পের টাকা এখনও আসেনি। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী সবাই শিক্ষার্থীদের জন্যই। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। সবাই যদি সামাজিক মূল্যবোধের ক্ষেত্রে আন্তরিক হয় তবে অনেক দূর এগিয়ে যাবে।’
এছাড়া তিনি অনুষ্ঠানের বিষয়ে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় জুলাই এর ১ম সপ্তাহে আমরা বড় করে সাবেক ভিসিদের দাওয়াত দিয়ে অনুষ্ঠান করবো। আপাতত র্যালি এবং আলোচনা সভা হচ্ছে।’