ওসমান হাদির মৃত্যুতে ইবি প্রশাসনের শোক র্যালি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে চব্বিশের জুলাই অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা ৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরীফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয়ভাবে ঘোষিত একদিনের শোক পালনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ এবং শোক র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে কয়েকশ শিক্ষক,শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা কর্মচারী নিয়ে এই শোক র্যালি বের হয়। র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। র্যালি শেষে শহীদ ওসমান হাদির আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া-মোনাজাত করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, ইবি জিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, ইউট্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন সহ অন্যান্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, ওসমান হাদি ভারতীয় আধিপত্যবাদের শুধু বিরোধী নয়, বিপ্লবীও ছিলেন। তিনি এর আগের শুক্রবারে গুলিবিদ্ধ হন। যে চেতনা তিনি ধারণ করতেন সেই চেতনা যেন আমাদের মধ্যে জাগ্রত থাকে। আমাদের মধ্যে বিপ্লবী চেতনা এবং ফ্যাসিস্ট বিরোধী মনোভাব রয়েছে, ভারতীয় আধিপত্যবাদকে আমরা 'না' বলি৷ জাতিকে শোক সাগরে নিমজ্জিত করে ওসমান হাদি আল্লাহর কাছে চলে গেছেন। আল্লাহ যেন তার শাহাদাতকে কবুল করেন।
উপাচার্য ড. নকীব নসরুল্লাহ বলেন, আজকে শোকের দিন, আমরা সবাই শোকে মুহ্যমান। ওসমান হাদি ছিলেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে, ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে এক অনলবর্ষী বক্তা। তাকে হারিয়ে বাংলাদেশ অমূল্য সম্পদকে হারিয়েছে। সন্ত্রাসীরা গুলি করার পরে সারা বাংলাদেশ যেভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে তাতে প্রমাণ হয় শহীদ হাদি লক্ষ হাদিকে জীবিত রেখে গেছেন। আমরা অচিরেই শহীদ ওসমান হাদির হত্যাকারীকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি। আল্লাহ যেন ব্যক্তিগত জীবনের গুনাহ মাফ করে দিয়ে তার শাহাদাৎ কে কবুল করেন।