কুবিতে আওয়ামীপন্থী চার শিক্ষকসহ তৎকালীন প্রক্টরিয়াল টিমকে শিক্ষার্থীদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী পন্থী চার শিক্ষকসহ চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালীন সময়ের তৎকালীন প্রক্টরিয়াল টিমকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও জুলাই আন্দোলনে হামলার সাথে জড়িত আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগধারী কুবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের শাস্তির দাবি জানান তারা।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদীকে হত্যার প্রতিবাদে ডাকা বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা তাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন এবং বিচারের দাবি জানান।
অবাঞ্ছিত হওয়া শিক্ষকরা হলেন, সাবেক প্রক্টর ও ব্যাবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক কাজী ওমর সিদ্দিকী, লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. রশিদুল ইসলাম শেখ, সাবেক সহকারী প্রক্টর ও মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক আবু ওবায়দা রাহিদ ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ও সাবেক সহকারী প্রক্টর অমিত দত্ত। এই শিক্ষকরা ২০২৪ সালে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার মদদদাতা হিসেবে ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি জুলাইয়ের দেড় বছর পার হয়ে গেলেও কোন বিচার পাইনি। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের যারা আমাদের উপর হামলা করেছে, যেসব শিক্ষক কুলাঙ্গাররা পুলিশকে লেলিয়ে দিয়ে আমাদের উপর হামলা করেছে তাদেরকে প্রশাসন বিচারের আওতায় না এনে পদোন্নতি দিয়েছে। আমরা চুপ করে থাকলেও তারা তাদের সন্ত্রাসী পায়তারা থামায়নি।
ইনকিলাব মঞ্চের নেতা ও লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী হাসান অন্তর বলেন, ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কথা বললে তারা আপনাকে বাঁচতে দিবেন না। আমরা চাই এই হত্যার বিচার হোক।
তিনি আরো বলেন, সারা দেশে লুকিয়ে থাকা আওয়ামীলীগের দোসরদের বিচারের আওতায় আনতে চাই। এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র হত্যার সাথে জড়িত, রাহিদ থেকে শুরু করে অমিত দত্ত, প্রক্টর রানাসহ জড়িত সকলকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্ছিত করতেছি।
শিক্ষার্থীরা আরো দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পরপর শিক্ষার্থীদের উপর হামলার সাথে জড়িত আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের করা যে সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে রয়েছে, তাদের নাম পরকাশ করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। তাদের বিচার না করলে প্রশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার হুশিয়ারী দেন তারা।
এ বিষয়ে বর্তমান প্রক্টর আব্দুল হাকিম বলেন, শিক্ষার্থীরা যাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে তা লিখিতভাবে দিলে আমরা প্রশাসন ব্যাবস্থা নিবো। এছাড়াও জুলাইয়ে যারা শিক্ষার্থীদের উপর হামলার সাথে জড়িত ছিলো তাদের বিষয়ে আমরা তথ্য প্রমান সংগ্রহ করছি। খুব দ্রুত তাদের নাম প্রকাশ করা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।