০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০:২৮

জকসু নির্বাচন কমিশনের দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে ৭ বানান ভুল, সমালোচনা

জকসু নির্বাচন  © টিডিসি সম্পাদিত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন এবং নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারের অভিযোগে শিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপি-জিএস প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এই নোটিশে ৭টি বানান ভুল করেছে কমিশন। ফেসবুকে চলছে সমালোচনা। 

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান স্বাক্ষরিত শোকজের একটি বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। এতে নির্বাচন কমিশনের দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে ৭টি ভুল ধরা পড়েছে। 

নোটিশে থাকা ভুলগুলো হলো- ‘অগ্রহায়ন, লঙ্ঘণ, উস্কানিমূলক, বিভ্রান্তকর, আচরন, সুষ্পস্ট ও লক্ষ্য’। এ ভুলগুলোর শুদ্ধ বানান হলো- ‘অগ্রহায়ণ, নির্বাচনি, লঙ্ঘন, উসকানিমূলক, বিভ্রান্তিকর, আচরণ, সুস্পষ্ট ও লক্ষ (দেখা)’।

নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে ভুল বানান ঘিরে ফেসবুকে চলছে নানা সমালোচনা। ভুল চিহ্নিত করে ফেসবুকে সমালোচনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী হারুন অর রশীদ নয়ন। তিনি লেখেন, একটি নির্বাচনি আপডেট এবং কিছু ভুল বানান।

একই বিভাগের আরেক সাবেক শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক মুজাহিদ বিল্লাহ লেখেন, ‘নির্বাচন কমিশন বা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোন বিজ্ঞপ্তিই প্রকাশনা দপ্তরকে দেখিয়ে প্রকাশ করা প্রয়োজন। প্রকাশনা দপ্তরে একজন বানান স্পেশালিষ্ট থাকতে পারেন। যিনি এসব বিষয় চেক করে এরপর সেটি সংশ্লিষ্ট জায়গা থেকে প্রকাশ করবেন।’

বিজ্ঞপ্তি দেয়া শোকজ প্রাপ্তরা হলেন, শিবির সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য’ প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী মোঃ রিয়াজুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী আব্দুর আলিম আরিফ। তারা দুজনে যথাক্রমে শাখা শিবিরের সভাপতি ও সেক্রেটারি জেনারেলের দ্বায়িত্বে আছেন।

আচরণবিধি লঙ্ঘনের এ বিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জকসু নির্বাচন কমিশন গভীরভাবে লক্ষ্য করছে যে, আপনার সমর্থিত প্যানেলের পক্ষে গত ২৭ নভেম্বর জগন্নায় বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাসে একটি সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সাংবাদিক সম্মেলনে আপনার প্যানেলের কতিপয় প্রার্থীসহ আরো অনেকে জকসু প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কমিশনারবৃন্দ ও জবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে নানা রকম উস্কানিমূলক, বিভ্রান্তকর ও মানহানিকর বক্তব্য প্রদান করেছেন। আপনার এহেন আচরণ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদসমূহের গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা-২০২৫ ও জকসু নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা ২০২৫-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। 

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, আপনাদের এই আচরণ অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হলো। এছাড়া আপনার আচরণের বিরুদ্ধে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে নিম্নস্বাক্ষরকারীর নিকট লিখিতভাবে জবাব দেয়ার নির্দেশ দেওয়া হল।