১৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৫২

জকসুতে লড়বেন সোহান, জাতীয় ফুটবল দলের ক্যাপ্টেন দিয়ে নামলেন প্রচারণায়

জামাল ভুঁইয়া ও মো. ফেরদৌস হোসেন সোহান  © সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ভিন্নধর্মী উপস্থাপনায় মনোনয়ন ঘোষণা করেছেন ক্রীড়া সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. ফেরদৌস হোসেন সোহান। দীর্ঘদিনের ক্রিকেট ক্যারিয়ার ও খেলাধুলার উন্নয়ন পরিকল্পনাকেই সামনে রেখে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দেন।

মনোনয়ন ফরম নেওয়ার পরই জাতীয় ফুটবল দলের ক্যাপ্টেন জনপ্রিয় খেলোয়াড় জামাল ভুঁইয়াকে দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন সোহান।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) মনোনয়ন সংগ্রহের শেষ দিনে মনোনয়ন সংগ্রহ করেন সোহান। 

সোহান জানান, ২০১৪ সালে অনূর্ধ্ব-১২ জাতীয় ক্রিকেট কার্নিভালের মধ্য দিয়ে তার ক্রিকেট যাত্রা শুরু। পরবর্তীতে অনূর্ধ্ব-১৪, ১৬ ও ১৮ জাতীয় পর্যায়ের দলে খেলা, বিভাগীয় লেভেলে বেস্ট ব্যাটসম্যান হওয়া এবং প্রাইম ব্যাংক ইয়ং টাইগার্স ক্রিকেট টুর্নামেন্টে বেস্ট ব্যাটসম্যান অর্জন তার অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করেছে। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অ্যান্টি-করাপশন ইউনিটে দায়িত্ব পালন করছেন।

তিনি বলেন, ‘খেলাধুলা হবে জবির পরিচয়, আর প্রতিটি প্রতিভার উন্মোচনই হবে আমার দায়’ এই ইশতেহার সামনে রেখে ‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান প্যানেল থেকে নির্বাচনী মাঠে নামছেন তিনি।

সোহান মনে করেন, জবিকে খেলাধুলায় একটি ‘ব্র্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। তার দাবি, সম্প্রতি জবিতে ‘শহীদ সাজিদ স্মৃতি স্পোর্টস কার্নিভাল’-এ ৮টি ইভেন্টে প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেন, যা বিশ্ববিদ্যালয়ে খেলাধুলার সম্ভাবনার স্পষ্ট প্রমাণ।

এদিকে জবি ছাত্রদল তাদের প্যানেল ঘোষণা দিয়েছে। আজ মঙ্গলবার ছাত্রশিবির তাদের প্যানেল ঘোষণা দেবে বলে জানিয়েছে।

এর আগে, গত ৫ নভেম্বর ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১২ নভেম্বর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। ১৩ ও ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ২৬৭ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। ১৭ ও ১৮ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিল, ১৯ ও ২০ নভেম্বর বাছাই, ২৩ নভেম্বর প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। ২৪–২৬ নভেম্বর আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তি সম্পন্ন হবে। ২৭ ও ৩০ নভেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট এবং ৩ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। ৪, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সুযোগ থাকবে, যা পরদিন (৯ ডিসেম্বর) প্রকাশ করা হবে। এরপর ৯ থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে নির্বাচনী প্রচারণা। ২২ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ ও সেদিনই ভোট গণনা সম্পন্ন হবে। ২২ থেকে ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।