১৪ মে ২০১৯, ১৪:৫৮

অবশেষে বশেমুরবিপ্রবির সিএসই বিভাগে ক্লাস শুরু

  © ফাইল ফটো

প্রায় একমাস পর অবশেষে ক্লাস শুরু হয়েছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইন্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগে। এর আগে সিএসই বিভাগে সর্বশেষ ক্লাস হয়েছিলো গত ৩ এপ্রিল।

দুই ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষক আক্কাস আলীর বিচারের দাবিতে ছাত্রদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সেখানে অচলাবস্থা তৈরি হয়। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের ফেসবুক স্ট্যাটাস অশালীন ও গণমাধ্যমের প্রকাশিত সংবাদকে মানহানিকর উল্লেখ করে শিক্ষকরা ক্লাস বর্জন করায় বন্ধ ছিলো এই বিভাগের সকল ধরনের ক্লাস পরীক্ষা কার্যক্রম।

ক্লাস শুরুর বিষয়ে সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থী মেসবাউল হাসান জানান, ‘দীর্ঘদিন পর আমাদের ক্লাস শুরু হয়েছে। ধন্যবাদ জানাই শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের। আশা করি, ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক আরো আন্তরিক হবে, নির্ভয়ে নিরাপদে আমরা পড়ালেখা করতে পারব। সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থীরা দক্ষতা ও সফলতার সাথে এগিয়ে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘ফেসবুক স্টাটাসের জন্য এক শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারসহ যে পাঁচ শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শাও নোটিশ দেয়া হয়েছে, তারাও ন্যায়বিচার পাবে বলে আশা করি।’

উল্লেখ্য, দুই ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগে অভিযুক্ত সিএসই বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান আক্কাস আলীর বিচারের দাবিতে গত ৭ এপ্রিল থেকে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত কমিটি গঠন করে এবং ১৮ এপ্রিল তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী আক্কাস আলীকে চেয়ারম্যান পদ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়।

এছাড়া ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত আট সেমিস্টারের জন্য সকল একাডেমির ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। আক্কাস আলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের পর শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরে যান। কিন্তু তদন্ত চলাকালীন ফেসবুকে দেয়া শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন স্টাটাসকে অশালীন এবং গণমাধ্যম প্রকাশিত সংবাদকে অবমাননাকর উল্লেখ করে ক্লাস নিচ্ছেলেন না এই বিভাগের শিক্ষকরা।

এর পাশাপাশি ফেসবুক স্টাটাসের জন্য এক শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারাদেশ সহ পাঁচ শিক্ষার্থীকে দেয়া হয় কারণ দর্শাও নোটিশ। গত বৃহষ্পতিবার (৯ মে) বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মোঃ নুরুদ্দীন আহমেদ স্বাক্ষরিত দু’টি পৃথক চিঠিতে এই আদেশ দেয়া হয়। ওই ছয় শিক্ষার্থীকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে রেজিস্ট্রার দফতরে তাদের লিখিত বক্তব্য জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।