বারবার নির্দেশ সত্ত্বেও হল ছাড়ছেন না বেরোবির অছাত্ররা
বারবার নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও হল ছাড়ছেন না রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) আবাসিক হলে থাকা ছাত্রত্ব শেষ হওয়া অছাত্ররা। শিক্ষাজীবন শেষ হওয়ার কারো দুই থেকে তিন বছর পার হলেও অনেকে এখনো আবাসিক হলগুলোতে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। এরমধ্যে অধিকাংশই ক্ষমতাসীনদের ছত্রচ্ছায়ায় অবস্থান করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হল সূত্রে জানা যায়, পরপর তিনবার অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু, কেউই হল ত্যাগ করেননি। ফলে, যারা নতুন ভর্তি হয়েছেন তারা কেউই হলে উঠতে পারছেন না।
হলের মোট ২৪০ টি আসনের মধ্যে ২০০টির মতো আসনে অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা অবস্থান করে আছেন। যাদের অনেকেরই ছাত্রত্ব শেষ হয়েছে। ছাত্রত্ব শেষ করেও ক্ষমতার দাপটে হল প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তারা বৈধ আবাসিক ছাত্রদেরকে বঞ্চিত করে নিজেরা সীট দখল করে আছেন। ফলে হলটি প্রতিমাসে আবাসন ফি বাবদ বড় অংকের টাকা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
হল সূত্র জানায়, বৈধ শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম হওয়ায় হলের অভ্যন্তরীন আয় কমে গেছে। যে কারণে হলের কর্মচারীদের নিয়মিত পারিশ্রমিক প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না।
বেরোবির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে অবস্থানরত অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের আগামী ৮ মে’র মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে হল প্রশাসন। গত রবিবার বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট তাবিউর রহমান স্বাক্ষরিত এক নোটিশের মাধ্যমে চতুর্থবারের মতো এ ধরনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এরপর আর সুযোগ দেয়া হবে না বলেও উল্লেখিত আছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, যাদের ছাত্রত্ব শেষ হয়েছে তাদেরকে আগামী তিনদিনের মধ্যে নিজ নিজ মালামালসহ হলত্যাগ করতে হবে। যারা হল ত্যাগ করবে না তাদের মালামাল হল প্রশাসন বাজেয়াপ্ত করবে এবং তাদের কোনো দায়িত্ব হল প্রশাসন নেবে না। নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে সরাসরি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট তাবিউর রহমান প্রধান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ছাত্রজীবন শেষ করেও অধিকাংশ শিক্ষার্থী হলে অবস্থান করছে। তাদের অনেকের মাস্টার্সের রেজাল্ট অনেক আগেই প্রকাশ হয়েছে। এরপরও তারা হল ছাড়ছে না। এর ফলে যাদেরকে নতুন করে হলে ভর্তি করানো হয়েছে তারা হলে উঠতে পারছে না।
তিনি বলেন, অনেকেই বিসিএস প্রিলিমিনারী পরীক্ষা পর্যন্ত সময় চেয়েছিল। আমরা মানবিক দিক বিচার করে তাদেরকে পরীক্ষা পর্যন্ত হলে অবস্থান করার সুযোগ দিয়েছি। কিন্তু, আগামী ৮ মে’র মধ্যে হল ছাড়ার যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তা অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।