ক্লাস-পরীক্ষা চলাকালীন বাদ্যযন্ত্র নিষিদ্ধের দাবি
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ক্লাস-পরীক্ষা চলাকালীন বাদ্যযন্ত্র ও সাউন্ড সিস্টেমের সব ধরণের ব্যবহার নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন এক শিক্ষার্থী।
রবিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিরাঙ্গন পরিচালক ও প্রক্টর অফিসে এ সংক্রান্ত একটি পত্র জমা দিয়েছেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মাস্টার্স দ্বিতীয় পর্বের ওই শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম।
তিনি চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, কয়েকদিন পর পর ক্লাস-পরীক্ষা চলাকালীন ক্যাম্পাসে র্যাগডেসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাদ্যযন্ত্র ও সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করা হয়। এর ফলে ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নেয়া বাকি শিক্ষার্থীদের মনোযোগে বিঘ্ন ঘটে থাকে। অনেক সময় অতিরিক্ত শব্দের কারণে শিক্ষার্থীদের ক্লাস ছেড়ে বাইরে আসতে হয়। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী ক্লাস-পরীক্ষা চলাকালীন বাদ্যযন্ত্র বা সাউন্ড সিস্টেমের ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা অনেকেই মানছেন না। ফলে, শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক শৃঙ্খলা রক্ষায় এবিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ক্লাস-পরীক্ষা চলাকালীন একাডেমিক ভবনগুলোর নিচে বাদ্যযন্ত্র বাজানো হয়। এতে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে মনোযোগ দেয়া কষ্টকর হয়। বিষয়টি কয়েকদফায় মৌখিকভাবে অবগত করা হলেও সংশ্লিষ্ট বিভাগ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তাই লিখিত পত্রের মাধ্যমে বাদ্যযন্ত্র ও সাউন্ড সিস্টেম নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছি।’
বিশ্ববিদ্যালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মোহাম্মদ ইমদাদুল হক বলেন, একাডেমিক ভবনের নিচে বাদ্যযন্ত্র বাজানোয় অনেকের সমস্যা হয়। ক্লাস চলাকালীন ক্যাম্পাসের অন্য অংশে বাদ্যযন্ত্র বা সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করা হলে এ ধরনের সমস্যা হবে না।
বহিরাঙ্গন পরিচালক রাফিউল আযম নিশার বলেন, ক্লাস চলাকালীন বাদ্য যন্ত্র বাজানোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বিভাগগুলো তা মানছে না। একদিন যে বিভাগ অভিযোগ করে কিছুদিন পর আবার সেই বিভাগই বাদ্যযন্ত্র বাজানো হয়। বিষয়টি নিয়ে আমরা বিভাগীয় প্রধানগণের সাথে কথা বলেছি। কিন্তু কোনো পরিবর্তন আসছে না। তবে এ বিষয়ে দাপ্তরিকভাবে বিভাগীয় প্রধানগণের সাথে সভা করে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান তিনি।