তথ্য পাওয়া সাংবাদিকদের মৌলিক অধিকার: পিআইবির মহাপরিচালক
‘সাংবাদিকদের জন্য একটি মৌলিক অধিকার হচ্ছে তথ্য পাওয়া। সেক্ষেত্রে তথ্য অধিকার আইন তথ্য সংগ্রহের সুযোগ করে দিয়েছে। আর এখন যারা সাংবাদিকতায় আসছো, আশা করবো তোমাদের হাত ধরেই এই আইনের ব্যাপক বিকাশ ঘটবে।’ প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) এর আয়োজনে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) সাংবাদিক সমিতির সদস্যদের নিয়ে তিন দিনব্যাপী ‘সাংবাদিকতায় বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ’ কর্মশালায় এসব কথা বলেন পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ।
কর্মশালার সমন্বয়ক পারভীন সুলতানা রাব্বীর সঞ্চালনায় শনিবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের ভার্চুয়াল ক্লাস রুমে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন জাফর ওয়াজেদ।
কর্মশালার প্রথম সেশনে সংবাদের ধারণা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন ফিল্ম এন্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের খন্ডকালীন শিক্ষক মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন। এসময় তিনি সাংবাদিকতার মৌলিক বিষয়গুলো সম্পর্কে আলোচনা করেন।
দ্বিতীয় সেশনে গণমাধ্যমে ভাষার ব্যবহার, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার পার্থক্য এবং তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে আলোচনা করেন মোহনা টেলিভিশনের বার্তা বিভাগের পরিচালক রহমান মোস্তাফিজ। এসময় তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে তথ্য অধিকার আইন এক ধরণের প্রতিবন্ধকতা। তবে আমাদের দেশের জন্য তথ্য অধিকার আইন খুব বেশী গুরুত্বপূর্ণ। অনেক দেশ আছে যারা আমাদের থেকে এই আইনের কপি নিয়েছেন।’
তৃতীয় ও চতুর্থ সেশনে ‘সাংবাদিকতার নীতিমালা ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা’ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেন পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ। তিনি বলেন, ‘শিক্ষতা যেমন মহান পেশা, সাংবাদিকতাও একটি মহান পেশা। আর সাংবাদিকরা সমাজের অনৈতিক কাজগুলো তুলে ধরে সমাজে শৃঙ্খলা আনতে সহযোগীতা করেন। এই পেশায় এডভেঞ্চার আছে। নিজের লেখা ছাপা হলে অন্যরকম আনন্দ রয়েছে। একটা রিপোর্ট সমাজকে যেমন এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে তেমনি সমাজকে পিছিয়েও নিয়ে যেতে পারে। অনেক সাংবাদিক আছেন যারা সত্য প্রকাশ করার কারণে বিভিন্ন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আবার অনেক দাঙ্গা আছে যেখানে সাংবাদিকদের ইন্ধন ছিলো।’
এসময় তিনি আরও বলেন, ‘সাংবাদিকতা অন্য যে কোন পেশার চেয়ে আলাদা। পত্রিকার অনেক বিবর্তন হয়েছে। আগে অনেক কষ্ট করে পত্রিকা বের হতো। ছাপার কাজ শেষ হতে ভোর হয়ে যেত। আগে সাপ্তাহিক পত্রিকার রমরমা ছিলো। কিন্তু এখন দৈনিক পত্রিকা সে জায়গা দখল করে নিয়েছে। পাঠকেরও মৃত্যু হয়। পাঠক পত্রিকার মান দেখে পত্রিকা পড়েন। অনেক পত্রিকা আছে যেটি জনপ্রিয়তা পেয়েও হারিয়ে গেছে।’ এছাড়াও তিনি এই দুর্যোগের মধ্যেও কর্মশালা আয়োজন করতে পারায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া পিআইবিতে যেকোনো সমস্যা নিয়ে আসলে সর্বোচ্চ সহযোগীতা করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এছাড়া কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন পিআইবির নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ এবং সাংবাদিক সমিতির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।