কুবির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর অপসারণ দাবিতে শিক্ষার্থীদের লিখিত অভিযোগ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (সিভিল) মোঃ আবদুল লতিফের বিরুদ্ধে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার ও প্রক্টর বরাবর দুর্নীতির দায়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গত বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এই অভিযোগ দেওয়া হয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, আব্দুল লতিফ রাজনৈতিক প্রভাবে ও ক্ষমতার মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। নিয়োগ হওয়ার পর তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরে অনিয়ম, দুর্নীতিতে যুক্ত ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় গেইট প্রকল্পে তিনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগসাজেশ করে দুর্নীতি করেছেন।
অভিযোগের মাধ্যমে আব্দুল লতিফকে ইঞ্জিনিয়ার দপ্তর থেকে সরানো ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা রক্ষার্থে তার বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ জানানো হয়।
এ বিষয়ে মোঃ রাশেদ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, রাজনৈতিক প্রভাবে নিয়োগ পেয়ে তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং দপ্তরে দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন। নবনির্মিত বিশ্ববিদ্যালয় গেইট প্রকল্পে ঠিকাদারের সঙ্গে তার যোগসাজশের বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তার এসব কর্মকাণ্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা ও কর্মকর্তা পরিষদের নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। আমরা অবিলম্বে তার অনিয়ম ও দুর্নীতির অতিদ্রুত তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই। অন্যথায় ছাত্র জনতা তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে বাধ্য হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রী বলেন, উনার ব্যবহার অনেক বাজে। উনি যখন তখন রুমে চলে আসে। ভাড়া সংক্রান্ত বিষয়ে প্রায়ই ছাত্রীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন।
এছাড়াও ২০২২ সালের ২০ জানুয়ারি কর্মকর্তা থেকে রেজিস্ট্রার পদে দায়িত্ব প্রদান ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু তাহেরের অপসারণের দাবিতে অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরে তালা ঝুলানো হয়। সে সময় তিনি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে আবদুল লতিফের যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
অভিযোগের বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী বলেন, আমরা তদন্ত কমিটি করি ব্যবস্থা নেব।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে কর্মকর্তা পরিষদ কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মো. আবদুল লতিফ। এটি মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী পরিষদ ছিল। পাশাপাশি তিনি ক্যাম্পাস সংলগ্ন আনসার ক্যাম্প মোড়ে ইঞ্জিনিয়ার বাড়ি নামে ছাত্রীদের একটি হোস্টেল পরিচালনা করেন। সেখানেও তিনি ছাত্রীদের সাথে বিভিন্ন সময় খারাপ ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।