ববিতে টানা ৩৪ দিনে গড়িয়েছে উপাচার্য বিরোধী আন্দোলন
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম ইমামুল হকের পদত্যাগ দাবীতে আন্দোলন টানা ৩৪ দিনে গড়িয়েছে। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ বরিবারও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সকাল ১০টা থেকে প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।
গত ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবসে বৈকালিক চা চক্র ও সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে আন্দোলনে নামলে উপাচার্য আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলে অভিহিত করেন। ফলে আন্দোলন বেগবান হয়। অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে।
তবে সব কিছু উপেক্ষা করেই আন্দোলন চালিয়ে আসছেন শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে শিক্ষক, কর্মকর্তা- কর্মচারীরাও শিক্ষার্থীদের সাথে উপাচার্য বিরোধী আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে আন্দোলনে শামিল হন।
আজকের কর্মসূচিতে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মিয়া, সাবেক সভাপতি আরিফ হোসেন, বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার সরকার, ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মিজানুর রহমান সহ প্রায় ২০ জন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে টানা তিন দিন আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন শেষে গত শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক শিক্ষাবিদ অধ্যাপক হানিফের আশ্বস্তে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অনশন কর্মসূচী দুইদিনের জন্য স্থগিত করেন। এসময় তাঁরা এরমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে উপাচার্য প্রফেসর ইমামুল হকের অপসারণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন বলে কথা দেন।
শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি আরিফ হোসেন বলেন, ‘উপাচার্যের অপকর্ম বলে শেষ হবে না । তিনি চরম স্বেচ্ছারিতা, হেয়ালিপনা করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় চালিয়েছেন। তাঁর স্বৈরাচারিতা থেকে ছাত্র-শিক্ষক কেউই মুক্ত নন। ১৯৭১ সালে উপাচার্য ইমামুল হক মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ না করে ঢাবিতে ক্লাস করেছেন। হঠাৎ কি বলে উনি মুক্তিযোদ্ধা হয়ে গেলেন এটা আমার বোধগম্য হয় না। এটা তো প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানের প্রতি চরম আঘাত।’
আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি সিফাত আহমেদ বলেন, ‘আমরা ৩৪দিন ধরে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে আসছি। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন কমিটির আশ্বসে আমাদের আমরণ অনশন কর্মসূচি দুই দিনের জন্য স্থগিত করেছি। তাঁরা সোমবার বিকেল পর্যন্ত সময় নিয়েছেন উপাচার্যকে অপসারণ বা পূর্ণমেয়াদে ছুটিতে পাঠানোর জন্য। এরমধ্যেতাঁরা যদি ব্যর্থ হয়, তবে আমরা শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বরিশালের সুধী সমাজ নিয়ে আমরণ অনশনের মত আরো কঠোর কর্মসূচি বাধ্য হবো।’