উপাচার্যের ঘুষ গ্রহণ ও দুর্নীতির অভিযোগে হাবিপ্রবিতে দুদকের অভিযান
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) গেস্ট হাউজের সাজসজ্জা সংক্রান্ত কার্যাদেশে অনিয়ম ও ঘুষ গ্রহণের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযান চালিয়েছে। রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরে এ অভিযান পরিচালনা করে দুদকের এনফোর্সমেন্ট ইউনিট।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন দুদক জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইসমাইল হোসেন। তিনি জানান, ‘তথ্য সংগ্রহ ও মাঠ পর্যায়ে এসে আমরা কথা বলেছি, পর্যবেক্ষণ করেছি। নথিপত্রগুলো যাচাই-বাছাই করে একটি রিপোর্ট ঢাকায় পাঠানো হবে। কমিশন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।’
দুদক সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকাস্থ গেস্ট হাউজের ইন্টেরিয়র কাজের আরএফকিউ (RFQ) টেন্ডারকে কেন্দ্র করে ৩০ লক্ষ টাকার কার্যাদেশে অনিয়ম, কাজ শেষ না হতেই বিল অনুমোদন এবং ব্যক্তিগত ব্যাংক একাউন্টে ঘুষের টাকা জমা দেওয়ার অভিযোগে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানের সময় প্রথমে উপাচার্যের দপ্তরে গিয়ে প্রয়োজনীয় নথিপত্র চাওয়া হয়। পরে রেজিস্ট্রার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকেও দরপত্র সংক্রান্ত নথি সংগ্রহ করা হয়। দুদক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দরপত্র প্রক্রিয়ায় কোনো অনিয়ম হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে রেকর্ডগুলো পর্যালোচনা করা হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের লেনদেন সংক্রান্ত কাগজপত্রও সংগ্রহ করা হবে।
এর আগে ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজ নামক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রপ্রাইটার অনুকূল বালা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. তরিকুল ইসলামের মধ্যে ঘুষ লেনদেন সংক্রান্ত একাধিক কল রেকর্ড সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেখানে অনুকূল বালা দাবি করেন, তিনি উপাচার্যকে ৪ লক্ষ টাকা ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে দিয়েছেন, যার প্রমাণ তার কাছে রয়েছে।
দুদক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঘুষ সংক্রান্ত অভিযোগ বা RFQ টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়ম পাওয়া গেলে কমিশন বরাবর জানানো হবে। কমিশন পরবর্তী সময়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং প্রয়োজনে সরাসরি আইন প্রয়োগ করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুদকের তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করা হবে।