২৬ এপ্রিল ২০১৯, ১৭:২৭

‘জীবনের যে কোন ধাপে বিদায় মানেই নতুন স্তরে প্রবেশ’

নবীনবরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিদের একাংশ।  © টিডিসি ফটো

বুক ভরা স্বপ্ন নিয়ে সকলে উচ্চশিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। এরপর ক্লাস-পরীক্ষা, এসাইনমেন্ট, থিসিস এভাবেই শেষ হয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয় জীবন। জীবনের প্রতিটি ক্ষণেই বিদায় হয়। স্কুল জীবন শেষ করে কলেজ জীবনে প্রবেশ এরপর কলেজ শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরু। আর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়ে কর্মজীবনের শুরু হয়। অর্থাৎ জীবনের যে কোন ধাপে বিদায় মানেই নতুন স্তরে প্রবেশ করা। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) চট্টগ্রাম জেলা থেকে আগত শিক্ষার্থীদের সংগঠন চট্টগ্রাম ছাত্রকল্যাণ পরিষদের নবীনবরণ এবং প্রবীণদের বিদায় অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

শুক্রবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের হল রুমে ১৩ তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের বরণ এবং ৬ষ্ঠ ও ৭ম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের বিদায় দেয়া হয়। সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মদ সাইফুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. শরীফুল ইসলাম ও প্রভাষক এন. এম. ইসতিয়াক চৌধুরী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রভাষক কাজী এম. আনিসুল ইসলাম, কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ থানার তদন্ত কর্মকর্তা কমল কৃষ্ণ ধর। এছাড়াও কুমিল্লা চট্টগ্রাম সমিতির নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, ‘শিক্ষা থেকে আমি শিখবো কিন্তু মানবিক মূল্যবোধ শিখবো সমাজ থেকে। শিক্ষিত হয়ে নিজের মনকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে দাঁড় করাতে হবে। বর্তমানে শিক্ষিতরাই দুর্নীতি বেশী করে।’

সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক কাজী আনিসুল বলেন, ‘আঞ্চলিকতার পাওয়ার সবচেয়ে বেশী। ইংরেজি ভাষা শিখতে হবে। কিন্তু বাংলা ভাষাকে বাদ দিয়ে ইংরেজি শিখলে শিক্ষা ব্যবস্থার কোনদিন উন্নতি হবেনা। এই সংগঠন শুধু চট্টগ্রামের মানুষের সেবা করবেনা। এটা পুরো বাংলাদেশের মানুষের জন্য কাজ করবে। তখনই সংগঠন স্বার্থক হবে।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ বলেন, ‘উন্নয়ন চার ধরণের হয়। লোকাল, রিজিওনাল, ন্যাশনাল ও ইন্টারন্যাশনাল। যারা বিদায় নিচ্ছো অবশ্যই উন্নয়নের চারটি ধাপ নিয়েই কাজ করতে হবে।’