ছিনতাইয়ের অভিযোগে জবির ২ শিক্ষার্থী বহিস্কার
- জবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০১৯, ০৪:০৯ PM , আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০১৯, ০৪:৩৯ PM
ছিনতাইয়ের অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দুই শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। একইসঙ্গে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে স্থায়ীভাবে তাদের কেন বহিস্কার করা হবে না জানতে চেয়ে শোকজ করা হয়েছে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ সিদ্ধান্ত নেয়।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফাহিম আহমেদ খান রাতুল (আইডি নং ই-১৬০৩০৪০৭২) এবং ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মারুফ আহমেদ (আইডি নং ই-১৭০৬০২০৪১)।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কৃত আদেশে বলা হয়, নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী তার বন্ধুদের সাথে ঘুরতে আসেন। এসময় তাদেরকে বাহাদুর শাহ (ভিক্টোরিয়া) পার্কে ডেকে ওই দুই বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী তাদের সাথে অশোভন আচরণ করে এবং মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়।
আরও বলা হয়, প্রাপ্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রাথমিক তদন্তে ফাহিম আহমেদ খান রাতুল এবং মো. মারুফ আহমেদ ওই ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুলভ নয় এবং শৃঙ্খলা পরিপন্থী। এ প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই দুই শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিস্কার করেছে এবং আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে স্থায়ীভাবে কেন বহিস্কার করা হবে না সে ব্যাপারে লিখিত জবাব দেয়ার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ছিনতাইয়ে জড়িত ফাহিম আহমেদ খান ওরফে রাতুল নিজেকে রাতুল হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত করালেও বিভাগে তার নাম ফাহিম আহমেদ খান এবং তার ফেসবুকের আইডি নাম আকাশ আব্রার তরফদার। তিনি বিভিন্ন অপকর্মের পর তার পরিচয় গোপন রাখতেই বিভিন্ন নাম ব্যবহার করে থাকেন বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে রাতুল বলেন, আমি জয়নাল আবেদিন রাসেলের (জবি শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক) রাজনীতি করতাম এবং তার সাথে ভালো সম্পর্ক থাকায় ক্যাম্পাসে অন্যান্যদের সাথে বিভিন্ন দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। তাছাড়া আমি এখন কোনো গ্রুপে রাজনীতি করি না।