২ দফা দাবিতে ভিসি ভবনে তালা, ‘নো ওয়ার্ক’ কর্মসূচি ঘোষণা জবি শিক্ষার্থীদের
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (জকসু) নীতিমালা বাস্তবায়ন, রোডম্যাপ ঘোষণা ও সম্পূরক শিক্ষাবৃত্তি নিশ্চিতের দাবিতে ভিসি ভবনে তালা দিয়ে ‘নো ওয়ার্ক’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ রবিবার (২৪ আগস্ট) বিকাল ৩টার দিকে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেন তারা।
জানা গেছে, আজ রবিবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্যের কক্ষের সামনে ‘ব্রেক দ্য সাইলেন্স’ অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন জবি শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ‘জকসু আমার অধিকার, রুখে দেওয়ার সাধ্য কার; বৃত্তি আমার অধিকার, রুখে দেওয়ার সাধয় কার; চলছে লড়াই চলবে, জবিয়ানরা লড়বে; আটটা টু আটটা, বাজায় কার ঘণ্টা; ভিসি স্যার জানেন নাকি, আমরা এখানে বসে আছি’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করে আলোচনা করলেও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা। পরে বিকাল ৩টার দিকে ভিসি ভবনে তালা লাগিয়ে দিয়ে ‘নো ওয়ার্ক’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা।
শাখা বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) সদস্য সচিব শাহিন মিয়া বলেন, ‘আমরা একবছর দাবি জানিয়ে আসছি। এরপর যমুনার সামনে থেকে উঠে এসে দেখি দাবির ফলাফল শূণ্য। আমাদের জকসুর নীতিমালা প্রণয়নসহ রোডম্যাপ ঘোষণা এবং সম্পূরক বৃত্তির সুনির্দিষ্ট নির্দেশনার দাবি। দৃশ্যমানভাবে এই দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ভিসি ভবন ছাড়বো না।’
শাখা ছাত্রশিবির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম আরিফ বলেন, ‘আমরা ২ দফা দাবি নিয়ে এখানে বসেছি। শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিন ধরে চলমান যৌক্তিক দাবিগুলো কোনো এক অজানা কারনেই আটকে আছে। আমরা প্রশাসনের এই নিরবতা ভাঙতে চাই। তারা কোথায় আটকে আছে এটা তাদেরকেই বলতে হবে। কেন এই দীর্ঘসুত্রিতা জানাতে হবে শিক্ষার্থীদের। আমরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলছে, চলবেই।’
এর আগে গত ১৯ আগস্ট থেকে জকসুর নীতিমালা অনুমোদেন ও সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ এবং সম্পূরক বৃত্তি প্রদানের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। ২১ আগস্টও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।
উল্লেখ্য, গত ৩০ জুলাই শিক্ষার্থীরা জকসুর রোড ম্যাপ এবং সম্পূরক বৃত্তির বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা দেওয়ার জন্য প্রশাসনকে দুই দিন আলটিমেটাম দেয়।