তিন দফা দাবিতে ববি শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) প্রতিষ্ঠার ১৫ বছর পেরোলেও অবকাঠামোগত সংকট, জমি অধিগ্রহণে ধীরগতি ও পরিবহণ সংকট এখনো কাটেনি। এসব মৌলিক সমস্যার সমাধানের দাবিতে শিক্ষার্থীরা ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করেছে। রবিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে বেলা ১টার দিকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
এসময় তারা ভিসি এলো ভিসি গেলে উন্নয়নের কি হলো,উন্নয়ন হয়না কেনো ইউজিসি জবাব দে, ২০০ একর হয়না কেনো প্রশাসন জবাব দে, শিক্ষা আমার অধিকার দিতে কিসে বাধা তোর, শিক্ষা কোনো পণ্য নয়, শিক্ষা মোদের অধিকার, বাজেট নিয়ে তালবাহানা চলবে না, চলবে না, ৫৩ একরে হবে না আর, ২০০ একর চাই এবার, মুলা ঝুলানো বন্ধ কর, জমি অধিগ্রহণ দ্রুত কর, এই মূহুর্তে দরকার ববির সংস্কার, সহ নানা স্লোগান দিতে দেখা যায়।
আন্দোলনকারীরা জানান, গত ২৫ দিন যাবৎ ববির যৌক্তিক উন্নয়নের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন তারা। তবে এখনো প্রশাসনের কোনো সাড়া না পাওয়ায় তারা আজকে সড়ক অবরোধ করতে বাধ্য হয়েছেন। তারা আরো জানান, প্রশাসন দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে দক্ষিণবঙ্গ ব্লকেডসহ আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।
শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত ৩ দফা দাবি হলো: দ্রুততম সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন;ক্যাম্পাসের আয়তন কমপক্ষে ২০০ একর পর্যন্ত বৃদ্ধি।; সকল শিক্ষার্থীর জন্য শতভাগ পরিবহণ সুবিধা নিশ্চিতকরণ।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী গণিত বিভাগের সাইফুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি অনুষদের ২৫টি বিভাগে শ্রেণিকক্ষের তীব্র সংকট রয়েছে। এর নিরসনের জন্য অবকাঠামো উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। অর্থনীতি, সমাজবিজ্ঞান, লোকপ্রশাসন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও গণযোগাযোগ বিভাগের জন্য মাত্র একটি করে শ্রেণিকক্ষ বরাদ্দ রয়েছে। এমনকি সমাজকর্ম বিভাগের কোনো শ্রেণিকক্ষই নেই। অনেক বিভাগের ব্যাচগুলোকে এক কক্ষ ভাগাভাগি করে পাঠদান চালাতে হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনদের জন্যও পর্যাপ্ত অফিসকক্ষ নেই।ছয় ডিনকে তিন কক্ষে ভাগাভাগি করতে হচ্ছে। আমাদের দাবি গুলা যৌক্তিক আসা করি আমাদের অতি দ্রুত বাস্তবায়ন হবে।