বর্ষবরণ শেষে ববিতে ফের আন্দোলনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
বাংলা নববর্ষ ১৪২৬ উদযাপন শেষে আবারো আন্দোলনে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। চৈত্র-সংক্রান্তি ও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে চলমান উপাচার্য বিরোধী আন্দোলন দুদিন স্থগিত রেখেছিল তাঁরা। সোমবার আবারো আন্দোলন শুরু করেছে তাঁরা।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, সকাল ১০ থেকে প্রশাসনিক ভবনের নিচ তলায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা উপাচার্যের পদত্যাগ চেয়ে বিভিন্ন স্লোগান, প্রতিবাদী গান পরিবেশন করেন। দুপুর ১টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
অন্যদিকে শিক্ষক সমিতিও দ্বিতীয় দিনের মত অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছেন। অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক নিয়োগে অনিয়ম- অস্বচ্ছতা, চেয়ারম্যান নিয়োগে জৈষ্ঠতা লঙ্ঘন, পদোন্নতি পদায়নে অনিয়ম, চাকুরী স্থায়ী করণে বিলম্ব সহ সুস্পষ্ট ৮ দফা দাবী নিয়ে আন্দোলন করছেন তারা। সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্য়ন্ত প্রশাসনিক ভবনের নিচ তলায় এ অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন তাঁরা।
আন্দোলনরত মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী লোকমান হোসেন বলেন, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আমাদের চলমান আন্দোলন স্থগিত রেখেছিলাম। গতকাল আমরা শিক্ষার্থীরা নিজস্ব অর্থায়নে নববর্ষ উদযাপন করেছি। যা আমাদের আন্দোলনেরই অংশ। উপাচার্যের পদত্যাগ বা পূর্ণ কালীন ছুটিতে না যাওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।
প্রসঙ্গগত, টানা ২০ দিন ধরে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম ইমামুল হকের পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলন করছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। কার্যত অচল রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষার্থীদের টানা আন্দোলনের মুখে গত ১০ ই এপ্রিল ১৫ দিনের ছুটি জন্য আবেদন করেন উপাচার্য । শিক্ষার্থী উপাচার্যের পদত্যাগ বা পূর্ণকালীন ছুটি চেয়ে আন্দোলনে অনড় রয়েছেন।