১১ আগস্ট ২০২৫, ১৭:৫২

নবীনদের বরণ করে নিলো ইবির ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ

ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের নবীন বরণ  © টিডিসি ফটো

বর্ণিল আয়োজনে স্নাতক ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ। সোমবার (১১ আগস্ট) সকাল ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র নজরুল কলা ভবনের ৫০৩ নং কক্ষে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ক্লাবের উদ্যোগে এই নবীনবরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। এসময় নবীন শিক্ষার্থীদের রজনীগন্ধা ও গোলাপের স্টিক, চাবির রিং এবং অন্যান্য উপহার সামগ্রী দিয়ে বরণ করা হয়।

ডিএস ক্লাবের সভাপতি বোরহান উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের সাজিদ বিন করিম ও আয়েশা আক্তার মিমের যৌথ সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক আতিফা কাফি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী অধ্যাপক আ হ ম নাহিদ এবং মো: ফিরোজ হোসাইন। 

নবীনদের উদ্দেশ্যে ডিএস ক্লাবের সভাপতি বোরহান উদ্দিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে মানুষের জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় কাটে। এখানে অজস্র সময় পাওয়া যাবে। এই সময় সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে, একটা সুন্দর সার্কেল গড়ে তুলতে হবে যেখানে পড়াশোনা, আড্ডা সব হবে৷ সার্কেল গঠন করার আগে একটু সতর্ক হবে। তোমাদের মনে রাখতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আমাদের সরকার যে টাকা দেয় সেটা দিনমজুর, কৃষক, ভিক্ষুকের ট্যাক্সের টাকা। 

তিনি আরও বলেন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত অন্যান্য বিভাগ আর ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা অনেকটাই আলাদা। অন্যান্য বিভাগে নির্দিষ্টভাবে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফোকাস করা হয় কিন্তু এইখানে বিভিন্ন কোর্স বিভিন্ন ভাবে পড়ানো হয়। এখানে গণিত, পরিসংখ্যান, অর্থনীতি সব পড়ানো হবে। সাব্জেক্ট নিয়ে গবেষণা করো, বিভাগ তোমাকে কি দিবে আর সেজন্য তোমার কি কি যোগ্যতা লাগবে সেটা বুঝতে হবে। 

বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক আতিফা কাফি বলেন, আজকে সকালে তোমাদের জীবনের একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। তোমাদের চোখে রয়েছে অনেক স্বপ্ন, অনেক সম্ভাবনা। আমরা শিক্ষক শিক্ষার্থী, সিনিয়র জুনিয়র সবাই সেই স্বপ্ন পূরণের সারথি হতে পারি। ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ শুধু একটি বিভাগ নয়, এটি একটি গবেষণা। 

তিনি আরও বলেন, এখানে তোমাদের শেখানো হয় কীভাবে সমাজে সমতা, ন্যায়বোধ ও মানবতা চর্চা করা হয় যা একটি নতুন সম্ভাবনার দিকে নিয়ে যায়। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিভাগ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এই সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে এবং তোমরা এই বিভাগে ভর্তির মাধ্যমে সমাজ বদলের অকুতোভয় সৈনিক হিসেবে কাজ করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।