১৪ এপ্রিল ২০১৯, ১৭:১৪

বর্ণিল আয়োজনে জবিতে বাংলা নববর্ষ উদযাপন

মঙ্গল শোভাযাত্রার র‌্যালিতে জবি পরিবার।  © মাসুম বিল্লাহ শরীফ

বর্ণিল ও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) বাংলা নববর্ষ-১৪২৬ উদযাপিত হয়েছে। সকাল ১০টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে বর্ষবরণ উৎসব শুরু হয়।

এ বছর মূল প্রতিপাদ্য ‘নদী’ হওয়ায় নদীর বিভিন্ন অনুষঙ্গ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয়। এরপর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল, ওয়াইজ ঘাট, আহসান মঞ্জিল, মুন কমপ্লেক্স, পাটুয়াটুলী, বাটা ক্রসিং শেষে আবারও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় মুখোশের পরিবর্তে বিভিন্ন প্রকারের মাছের প্রতিকৃতি ব্যবহার করা হয়েছে।

শোভাযাত্রা শেষে জবি কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ একটি নাম যার পিতা বঙ্গবন্ধু, যার মাতা নদী। এদেশের ঠিকানা পদ্মা, মেঘনা, যমুনা। আগে স্লোগান হতো ‘পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, তোমার আমার ঠিকানা’। আমরা এবার মঙ্গল শোভাযাত্রায় আমাদের স্লোগান রেখেছি, ‘নদী বাঁচলে বাঁচবে দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’। আর মূল থিম ছিল ‘নদী’। আমরা বাঙালীত্ব ধারণ করে আমাদের সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ষবরণ উৎসব। ছবি: মাসুম বিল্লাহ শরীফ

উপাচার্য বর্তমান আলোচিত ফেনীর ঘটনা স্মরণ করে বলেন, দেশের মানুষের দারিদ্রসীমা কমে আসছে, মানুষ দিনে দিন ধনী হচ্ছে। তবে এখন যে অপশক্তি আমাদের উপর ভর করেছে, তাতে মনে হয় মানুষ তার মনুষ্যত্ব হারিয়ে ফেলছে। মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে গেলেও মনুষ্যত্ব সীমার বাইরে চলে যাচ্ছে। ফেনীর যে ঘটনা তা মেনে নেয়া যায় না। কারণ এতো কম বয়সী একটি মেয়ের উপর নারীসহ সমাজের উঁচুস্তরের মানুষেরা যে পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছে তা মানবতার সর্বনিম্ন স্তরকেও হার মানায়।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জবি ট্রেজারার অধ্যাপক সেলিম ভূঁইয়া, শিক্ষক সমিতির সভাপতি দীপিকা রাণী সরকার, সাধারণ সম্পাদক ড. নূর মোহাম্মদ প্রমুখ।

বর্ষবরণ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে মেলার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন প্রকার পণ্যসামগ্রী বিক্রি করা হচ্ছে। তাছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের নিচতলায় প্রকাশনা প্রদর্শনী চলছে।