৩০ জুলাই ২০২৫, ০০:৩৩

মেসেঞ্জার গ্রুপে কথা কাটাকাটি, শিক্ষার্থীদের দুই দফায় মারধর ছাত্রদল নেতাকর্মীর 

কথা কাটাকাটির জেরে হামলার ঘটনা  © সংগৃহীত

সরকারি তিতুমীর কলেজে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দফায় একাধিক শিক্ষার্থী মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। কলেজের অর্থনীতি বিভাগের একটি মেসেঞ্জার গ্রুপে কথা কাটাকাটির জেরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীদের মতে, হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জলিল আদিক এবং আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নয়ন মিয়া।

আজ মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বেলা ১২টার দিকে কলেজের প্রধান ফটকের সামনে হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় অংশ নেয় ১০ থেকে ১৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল। অভিযোগ রয়েছে, তারা সবাই তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফ মোল্লার অনুসারী।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন সাঈদ জানান, বিভাগের মেসেঞ্জার গ্রুপে একটি তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে তাঁর কয়েকজন সহপাঠীর সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়। এর জেরে সোমবার (২৮ জুলাই) রাত ৮টার দিকে তাঁকে চা খাওয়ানোর কথা বলে ডেকে নিয়ে প্রথম দফায় মারধর করা হয়। ওই ঘটনায় নেতৃত্ব দেয় ছাত্রদল নেতা আরিফ মোল্লার অনুসারী কামরুল, পারভেজ, রাফসান, জুবায়েরসহ ১০ থেকে ১৫ জনের একটি দল। 

পরে কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইমাম হোসাইন এসে বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। 

সাব্বির আরও জানান, আজ (মঙ্গলবার) সকালে ক্যাম্পাসে বসে থাকার সময় তাঁদের ওপর আবারও হামলা চালানো হয়। তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় দফায় জলিল আদিক এসে বলে, “তুই কে? তোকে আগে মারব, তারপর কথা বলব।” বলেই সে ইট দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করে। এরপর তারা আমাদের সবাইকে বেধড়ক মারধর করে। আমরা ৭-৮ জন ছিলাম কারোই রেহাই মেলেনি।

ঘটনার সময় কলেজ গেটের সামনে থাকা এক প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থী জানান, ‘সকালে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফ মোল্লার অনুসারীরা কয়েকজন শিক্ষার্থীকে প্রকাশ্যে মারধর করে। অনেকেই ঘটনাটি নিজের চোখে দেখেছে।

অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা জলিল আদিক বলেন, ‘একটা ঝামেলা হয়েছিল, আমি দুই পক্ষকে বুঝিয়ে পাঠানোর পরেও তারা একটা ইট নিয়ে ছুড়ে মারে ছোট ভাইয়ের দিকে। তখন সেই ছোট ভাইয়ের মাথা ফেটে যায়। বাঁশ দিয়ে আরেকজন আমার মাথার উপর আঘাতের উদ্দেশ্যে আসলে আমার আরেক ছোট ভাই সেটি হাত দিয়ে আটকায়। এসময় তার আঙুল কেটে যায়। আমি পরে তাকে একটা থাপ্পড় দিয়ে সরিয়ে দেই। আমার জুনিয়র হয়, দুই-একটা থাপ্পড় দিতেই পারি।’