১১ এপ্রিল ২০১৯, ২১:৪২

জবিতে মঙ্গল শোভাযাত্রার মূল ভাবনা নদী

পহেলা বৈশাখের প্রস্তুতি  © টিডিসি ফটো

বাংলাদেশের সৌন্দর্যের কথা বলতেই প্রথমে যে বিষয়গুলো সামনে আসে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো নদী। কিন্তু এই নদী আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। নদী বাঁচানো এখন সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে তাদের মঙ্গল শোভাযাত্রার মূল থিম নির্ধারণ করেছে নদী। এবার জবির মঙ্গল শোভাযাত্রার মূল স্লোগান ‘বাঁচলে নদী বাঁচবে দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ আর মুখোশের পরিবর্তে মাছের প্রতিকৃতি তুলে ধরা হবে। পাশাপাশি থাকবে বেজি, শুশুক, বজরা, ডিঙি, ময়ূরপঙ্খী নৌকা ও নৌকাবাইচের দৃশ্য।

বর্ষ বরণের এ আয়োজনকে সফল করতে নিরলসভাবে কাজ করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে বিভাগীয় শ্রেণিকক্ষ ও নতুন ভবনের নিচতলায় দুই ভাগে ভাগ হয়ে কাজ করছেন তারা। শিক্ষার্থীরা খুব আগ্রহের সাথে কাজ করছেন। সহপাঠী, বিভাগের শিক্ষক ও বিভিন্ন ব্যাচের সব শিক্ষার্থী একসঙ্গে আনন্দ, আড্ডা ও গল্পের সঙ্গে কাজ করছেন।

আয়োজকরা বলেন, বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। বুড়িগঙ্গার সেই স্বচ্ছ পানির প্রবাহ, পাল তোলা নৌকা আজ আর দেখা যায়না। শুধু বুড়িগঙ্গা নয়, নদীমাতৃক এই বাংলাদেশের অধিকাংশ নদী আজ মৃত প্রায়, এ জন্য নদী রক্ষায় সকলকে সচেতন করা, নদীকে দখলমুক্ত করা এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা আমাদের এই উদ্যোগের মূল বিষয়।

চারুকলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মারুফ বলেন, আমরা সকলে এক সাথে কাজ করছি ভালো লাগছে। সকলে মিলে নদীর প্রতিচ্ছবি তুলে ধরার চেষ্টা করছি। প্রতি বছর এই কাজের মাধ্যমে আমরা অনেক নতুন বিষয় শিখে থাকি। মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতি শেষের দিকে বলেও জানান তিনি।

চারুকলা বিভাগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলপ্তগীন বলেন, আমরা এ বছর বৈশাখ উৎসবে আমাদের নিজস্ব ঐতিহ্য ও হারিয়ে যেতে বসা নদী সংরক্ষণে মানুষকে সচেতন করার জন্য কাজ করছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মীজানুর রহমান বলেন, আমাদের স্বাধীনতা ও বিভিন্ন আন্দোলনে মূল স্লোগান ছিল ‘তোমার আমার ঠিকানা/পদ্মা, মেঘনা, যমুনা’। বাংলাদেশকে বলা হয় নদীমাতৃক আর স্বাধীনতার যে ঠিকানা ব্যবহার করেছি তাও নদী। তাই আমাদের নিজেদের জন্য নদী বাঁচাতে হবে। গণসচেতনতার জন্যই এ বছর নদীকে প্রধান প্রতিপাদ্য করা হয়েছে।