ঢাবিতে নুসরাত হত্যার বিচার দাবিতে ফেনী শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির গায়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়স্থ ফেনীর শিক্ষার্থীদের সংগঠন ঢাকা ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন অব ফেনী (ডুসাফ)।
বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে নুসরাত জাহান রাফি হত্যার প্রতিবাদ ও খুনিদের ফাঁসির দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। মানববন্ধনে ডুসাফের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সাবেক সভাপতি ফোরকান মাহমুদ, বর্তমান সভাপতি ও ডাকসুর স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক সা’দ বিন কাদের সাদী, সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলাম শামীম, ফেনীর শিক্ষার্থী ও ছাত্র ইউনিয়নের ঢাবি শাখার সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ, ঢাবির মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মুনির হোসাইন প্রমুখ।
সা’দ বিন কাদের সাদী বলেন, যারা খুনি অধ্যক্ষের পক্ষে রাস্তায় নেমেছে তাদের একেকজন একবিংশ শতাব্দীর জানোয়ার। আমরা তাদের শাস্তি দাবি করছি। শুধু নুসরাত নয়, এর আগে এমন যত ঘটনা ঘটেছে তার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে খুনিদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
তিনি বলেন, ফেনীকে আগুনের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ভবিষ্যতে যেন কোথাও এমন কোন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে তার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে সজাগ থাকতে হবে। আমরা এমন ঘটনার বিচার দাবি করছি। যদি এমন লোমহর্ষক ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হয়, তবে ডুসাফের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে কঠোর আন্দোলনের যাবো।
মানববন্ধনে উপস্থিত ফয়েজ উল্লাহ বলেন, এমন নৃশংস ঘটনা আমাদের হতবিহবল করেছে। আমি সেই মাদ্রাসা অধ্যক্ষের ফাঁসি দাবি করছি। একই সঙ্গে তার সহযোগীদেরও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে বলে আশা করছি।
তাদের সাথে সংহতি জানিয়ে ইতিহাস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম খান বলেন, এর আগে ফেনীতে একটি ছেলেকে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। এখন নুসরাতকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা বারবার ঘটছে। আমি চাই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।
এরপর মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা একটি মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। মিছিলটি অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে গিয়ে শেষ হয়।