০৯ এপ্রিল ২০১৯, ১৪:১৩

ফের সড়ক অবরোধ ববি শিক্ষার্থীদের

  © টিডিসি ফটো

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম ইমামুল হকের পদত্যাগ চেয়ে আবারো সড়ক অবরোধ করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। গতকাল সোমবারের দেওয়া ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটামের মধ্যে উপাচার্যের পদত্যাগ পত্র বা বাধ্যতামূলক ছুটির লিখিত না পাওয়ায় দুপুর ১টার শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে। এতে ওই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

সোমবার উপাচার্যের পদত্যাগপত্র বা বাধ্যতামূলক ছুটির লিখিত চেয়ে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার ১টায় নির্ধারিত সময় শেষ হয়। এরমধ্যে উপাচার্যের পদত্যাগ না করায় তাৎক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-পটুয়াখালী মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।

প্রায় ঘন্টাব্যাপী সড়ক অবরোধের কারণে যান চলাচল স্থবির হয়ে পড়ে। বরিশালের সাথে পটুয়াখালি, বরগুনা, ভোলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এসময় তারা শুধু অ্যাম্বুলেন্স যেতে সাহায্য করে। এর আগে সকাল ১০টা থেকেই শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নিচ তলায় অবস্থান কর্মসূচি গ্রহণ করে। উপাচার্যের পদত্যাগ চেয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।

এদিকে সন্ধ্যায় ঢাকার কলাবাগান লিয়াজোঁ অফিসে এক জরুরী সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, এই সিন্ডিকেট সভায় উপাচার্য তাঁর কাছের মানুষদের অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক পদে নিয়োগ দিতে যাচ্ছেন।

আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী মহিউদ্দীন আহমেদ সিফাত বলেন, ‘উপাচার্যের পদত্যাগপত্র বা বাধ্যতামূলক ছুটির লিখিত কপির জন্য আমরা ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছিলাম। আজ ১টায় আমাদের আল্টিমেটাম শেষ হয়েছে। কিন্তু তিনি কোন সাড়া দেননি। তাই আমরা তাৎক্ষণিকভাবে রাস্তা অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছি। 

তিনি বলেন, ‘আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে আজকের সিন্ডিকেট সভায় উপাচার্যকে পদত্যাগের জন্য বাধ্য করা হবে। যদি সিন্ডিকেট সভার পর উপাচার্য পদত্যাগ না করেন, তবে আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য সড়ক অবরোধের মতো কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।’

গত ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে উপাচার্যে চা চক্র ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পালনকে কেন্দ্র করে আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। পরবর্তীতে বিইউডিএস এর এক অনুষ্ঠানে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকার’ বললে আন্দোলন বেগমান হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় বিদ্যমান অচলাবস্থা নিরসনে গত শনিবার বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও তা ভেস্তে যায়। উপাচার্যকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর আশ্বস্ত করলেও শিক্ষার্থীরা তা লিখিত চেয়ে আন্দোলনে অনড় রয়েছেন।