এবার বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ভিসির পদত্যাগে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম ইমামুল হকের পদত্যাগ চেয়ে ফের ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উপাচার্যের পদত্যাগ পত্র বা বাধ্যতামূলক ছুটির লিখিত পত্র না পেলে অনির্দিষ্টকালের জন্য সড়ক অবরোধসহ আরও কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে।
সোমবার পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান ফটকের সামনে আবারো ঢাকা-পটুয়াখালী মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। সকাল ১১ টার দিকে এ অবরোধ কর্মসূচী শুরু হয়। প্রায় ২ ঘণ্টা ব্যাপী সড়ক অবরোধে যান চলাচল স্থবির হয়ে পড়ে। বরিশালের সাথে পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলার যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তবে এ অবরোধে শিক্ষার্থীদের কোন অ্যাম্বুলেন্স আটকাতে দেখা যায়নি। পরে ১১ টার দিকে বৃষ্টি শুরু হলেও বৃষ্টি উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ অব্যাহত রাখে।
এর আগে সকাল ৯টা থেকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নিচ তলায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। পরবর্তীতে সাড়ে ১০টায় তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি প্রধান ফটক থেকে শুরু করে ঢাকা-পটুয়াখালী মহাসড়ক হয়ে ভোলা রাস্তার মোড় হয়ে আবার প্রধান ফটকে এসে শেষ হয়।
আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম জানান, উপাচার্যের পদত্যাগ পত্র বা বাধ্যতামূলক ছুটির লিখিত কপির জন্য আমরা আবারো ২৪ ঘণ্টার সময় দিচ্ছি। সোমবার বেলা ১টা থেকে আগামীকাল দুপুর ১টার মধ্যে উপাচার্যের পদত্যাগপত্র বা বাধ্যতামূলক ছুটির বিষয়টি লিখিত আকারে না পাওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো। প্রয়োজনে অনির্দিষ্টকালের জন্য মহাসড়ক অবরোধ করবো।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে উপাচার্যের চা চক্র ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পালন করাকে কেন্দ্র করে এ আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। পরবর্তীতে বিইউডিএসের এক অনুষ্ঠানে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের রাজাকার বললে এ আন্দোলন আরো বেগবান হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যমান এ অচলাবস্থা নিরসনে গত শনিবার বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি সমঝোতা বৈঠক হলেও তা ভেস্তে যায়। সেখানে উপাচার্যকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর আশ্বস্ত করলেও শিক্ষার্থীরা তা লিখিত চেয়ে আন্দোলনে অনড় রয়েছেন।