ছাত্রলীগ-পুলিশ সংঘর্ষের পর থমথমে চবি: দু’জন গুলিবিদ্ধসহ আহত ১০
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) পুলিশের সঙ্গে শাখা ছাত্রলীগের একাংশের সংঘর্ষের পর ক্যাম্পাসে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়াতে সেখানে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষে দুজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১০জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ছাত্রলীগের ছয় কর্মীর বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা দায়েরের প্রতিবাদে ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তবে তাদের দাবির ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনো নিজেদের অবস্থান জানায়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন হলে ও আশেপাশে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
রবিবার সকাল থেকেই শাখা ছাত্রলীগের বগি ভিত্তিক দুই গ্রুপ বিজয় ও সিএফসি পক্ষের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসের মূল ফটক অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে বেলা ১১ টা ৪০ মিনিটে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হলে মূল ফটকের তালা খুলে দেয় পুলিশ। এসময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাঁধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়।
তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পুলিশ ও সাধারণ পথচারীসহ অন্তত ১০ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এরমধ্যে অন্তত দু‘জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া কয়েকজনকে আটকের খবর পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে চবি ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি রেজাউল হক রুবেল দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেছেন, ‘শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশের হামলার আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবি জানাচ্ছি।’ আন্দোলনের বিষয়ে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
চবি শাখা ছাত্রলীগের ছয় কর্মীর বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা দায়ের করায় অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেয় শাখা ছাত্রলীগের একাংশ। ধর্মঘটের প্রথমদিনেই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে শাটল ট্রেন। কেটে দেওয়া হয়েছে কয়েকটি বগির হোস পাইপ। এছাড়া শিক্ষকদের বাস, ক্যাম্পাসে অভ্যন্তরে সিএনজি, অটোরিকশাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আজ রবিবার সকাল থেকেই শাখা ছাত্রলীগের বগি ভিত্তিক দুই গ্রুপ বিজয় ও সিএফসি পক্ষের ৬ কর্মীর মুক্তির দাবিতে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসের মূল ফটকে অবস্থান নিয়ে ধর্মঘট পালন শুরু করে।
এদিকে গতকাল শনিবার থেকে দুই দফা দাবিতে আন্দোলনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পেইজে বার্তা দিতে দেখা যায়, সংগঠনটির নেতাকর্মীদের। তবে সুনির্দিষ্ট কোন প্রেস ব্রিফিং করেননি আন্দোলনকারীরা। ফলে আন্দোলন ঘোষণা শুধুমাত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেই সীমাবদ্ধ ছিলো।
এছাড়া ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে দুই দফা দাবি জানানো হয়। তা হল- সম্প্রতি অস্ত্র মামলায় কারাগারে থাকা ছয় ছাত্রলীগ কর্মীর মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহার এবং ২০১৫ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সকল রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার।