বিভিন্ন অপরাধের দায়ে চার শিক্ষকের জরিমানা
বিভিন্ন অপরাধের দায়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) চার শিক্ষককে শাস্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এদের মধ্যে এক শিক্ষককে চাকরি থেকে অব্যাহতি, দুইজনের পদঅবনতি এবং একজনকে বিশেষ ক্ষেত্রে বিভাগের কোসের্র সঙ্গে জড়িত থাকতে পারবেন না বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছে সিন্ডিকেট।
শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪৪তম সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ।
জানা যায়, শুক্রবার সকাল ১১টায় উপাচার্যের বাসভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪৪তম সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী সভাপতিত্বে সভায় সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ (একাডেমিক ও প্রশাসনিক) বিভিন্ন বিষয়সহ শিক্ষক নিয়োগে বাণিজ্য, শিক্ষক দ্বারা বিভাগের এক ছাত্রীকে নির্যাতন ও বিভিন্ন অভিযোগ এনে একাধিক বিভাগের চার শিক্ষকের বিষয়টি সিন্ডিকেট সভায় উত্থাপিত হয়।
সভায় এসব অভিযোগ পর্যালোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিয়োগ বাণিজ্যের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদকে অধ্যাপক থেকে সহযোগী অধ্যাপক এবং বাংলা বিভাগের শিক্ষক ড. বাকী বিল্লাহ বিকুলকে সহযোগী অধ্যাপক থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদঅবন্নতি দেয়।
ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার সরকারের বিরুদ্ধে বিভাগের এক ছাত্রীকে মানসিক চাপ ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগে ওই শিক্ষককে বিশেষ ক্ষেত্রে বিভাগের কোসের্র সঙ্গে জড়িত থাকতে পারবেন না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক্ষেত্রে সহকারী অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার ওই ছাত্রীর কোন কোর্সের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারবেন না বলে জানা গেছে।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তারেকুজ্জামনকে ছুটি বহির্ভূত দীর্ঘদিন কানাডায় অবস্থান করায় তাকে চাকরী থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে থেকে বার বার নোটিশ দেওয়ার পর তিনি কর্মক্ষেত্রে যোগদান না করায় বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট এ সিদ্ধান্ত নেয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী বলেন, ‘বিজ্ঞ সিন্ডিকেট দীর্ঘ পর্যালোচনা এবং বিচার বিশ্লেষণ করে অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী তাদেরকে শাস্তি দিয়েছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন প্রকার দুর্নীতির ঠাই নেই। নিজ কর্মে ফাঁকি দেওয়াও বড় দুর্নীতি।’