সরকারি কলেজের কর্মকর্তা-কর্মচারী বেসরকারি!
‘সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারী ইউনিয়ন তিতুমীর কলেজ’ শাখার উদ্যোগে সরকারি তিতুমীর কলেজে বেসরকারি কর্মচারীবৃন্দের চাকরি জাতীয়করণের দাবিত মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা সরকারি কলেজের কর্মী হয়েও এখনো সরকারের তালিকাভুক্ত হতে পারিনি।
বুধবার সকাল ১০ টার দিকে কলেজের প্রধান ফটকের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধনে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক রমিজ উদ্দিনের সঞ্চালনায় ও সভাপতি আবুল খায়েরের সভাপতিত্বে কলেজের সকল বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
এসময় তাদের হাতে ‘ডালভাত খেয়ে বাঁচতে চাই’ ‘চাকরির ক্ষেত্রে বৈষম্য কেনো’ ‘ভালোভাবে বাঁচতে চাই’ ‘চাকরি সরকারিকরণ করতে হবে’ লেখা সম্বলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে।
মানববন্ধন থেকে সংগঠনটি তাদের তিনটি দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো:
১. বেসরকারি কর্মচারিদেরকে নিয়োগের তারিখ থেকে তাদেরকে জাতীয়করণ করতে হবে,
২. জাতীয়করণের পূর্ব পর্যন্ত সরকারি বেতন স্কেল অনুযায়ী বেতন ভাতাদি প্রদান করতে হবে,
৩. প্রতিটি কলেজের অধ্যক্ষকে বেসরকারি কর্মচারীদেরকে সরকারিকরণের ক্ষমতা দিতে হবে।
সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও তিতুমীর কলেজ ইউনিটের সভাপতি আবুল খায়ের বলেন, আপনারা জানেন অন্যান্য মন্ত্রণালয়ে মাস্টাররোলে নিয়োগ হলে পরবর্তীতে তাদের জাতীয়করণ করা হয়। আমরা যারা কলেজে চাকরি করি আমাদেরকে এখনো সরকারিকরণ করা হয়নি। তিতুমীর কলেজে ২৫০জন কর্মচারী চাকরি করলেও ১৫ থেকে ২০ জন ছাড়া কেউই সরকারি তালিকাভুক্ত নয়, সবাই বেসরকারি।
বক্তারা মানববন্ধনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনি মাদার অব হিউম্যানিটি। আপনি আমাদের দিকে তাকান। আপনি আমাদের বাঁচান, আমরা ভালোভাবে বাঁচতে চাই, আমাদের ছেলে-মেয়েদের নিরাপদ ভবিষ্যৎ চাই। আমরা বেতন বৈষম্য ও বেসরকারি কর্মচারী হওয়ার কারণে ছেলেমেয়েদেরকে ভালো সম্বন্ধও দিতে পারি না। আমাদের ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার হাত থেকে রক্ষা করুন।
বক্তারা আরো জানান, কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে এ মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে সারাদেশের সকল কলেজের কর্মচারীরা একত্রিতভাবে প্রেসক্লাবের সামনে বড় ধরনের মানববন্ধনে অংশ নেবো।