ছাত্র সংসদের টাকা ভিন্নখাতে ব্যয় হয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) আইনে ছাত্র সংসদের বিধান নেই। কিন্তু ভর্তির সময় ছাত্রসংসদের নামে নির্ধারিত হারে টাকা নেওয়া হচ্ছে। এক হিসেবে বলছে, ছাত্রসংসদ বাবদ আনুমানিক ১৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা আয় হয়েছে। তবে আদায়কৃত এ টাকা কোন খাতে ব্যবহার করা হয়েছে তাও নির্দিষ্ট করে জানাতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মুহা. ওহিদুজ্জামান জানালেন, আদায়কৃত সব টাকাই উন্নয়নের স্বার্থে ব্যবহার করা হয়।
এ হিসেব অনুযায়ী প্রত্যেক ছাত্রের কাছ থেকে ভর্তির সময় ছাত্র সংসদ বাবদ প্রতি বছর ৫০ টাকা করে ফি নেওয়া হয়। এছাড়া ছাত্র-ছাত্রী কল্যাণবাবদ প্রতি বছর ১০০ টাকা করে ফি নেওয়া হয়। এ টাকা যারা খরচ করবে সেই ছাত্রসংসদই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইনে নেই। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসংসদ না থাকায় এই টাকা বিভিন্ন খাতে খরচ করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
জানা যায়, বর্তমানে প্রতিবছর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই হাজার সাতশ পঞ্চাশ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ছাত্র ইউনিয়ন বাবদ ৫০ টাকা করে বছরে ১ লক্ষ ৩৭ হাজার পাঁচশত টাকা আয় হচ্ছে। ২০০৫ সালের ২০ অক্টোবর জগন্নাথ কলেজকে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করা হয়। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত মোট ১৪টি ব্যাচ ক্লাস করছে।
জগন্নাথ কলেজ এ ১৮ বছর ও বিশ্ববিদ্যালয় পরবর্তী প্রায় ১২ বছর ছাত্রসংসদ নির্বাচন হয়নি। জগন্নাথ কলেজ থাকাকালে প্রতি বছর পাঁচ হাজার সাতশ শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হতো। এ সময় প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ছাত্র সংসদের নামে ২৫ টাকা ফি আদায় করা হতো।
সেই হিসাবে কলেজ কর্তৃপক্ষ ছাত্রসংসদের ফি’র নামে (১৯৮৭-২০০৫) ২৫ লাখ ৬৫ হাজার টাকা আদায় করা হয়। ২০০৫ সালে জাতীয় সংসদে পাসকৃত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০৫ এ ছাত্রসংসদের অধ্যাদেশটি যুক্ত করা হয়নি। তাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসংসদ নির্বাচন আয়োজন করতে হলে আগে বিশ্ববিদ্যালয় আইনে ছাত্রসংসদ অধ্যাদেশটি যুক্ত এবং ছাত্রসংসদের গঠনতন্ত্র তৈরি করতে হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, খুব দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটে ছাত্রসংসদের আইন পাস করে আইনটি অনুমোদনের জন্য জাতীয় সংসদে পাঠাবে। বিশেষ অনুমোদন নিয়ে ছাত্রসংসদ নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করবে।