২৬ মার্চ ২০১৯, ১৯:১৫

এবার নিজ শিক্ষার্থীদের রাজাকারের বাচ্চা বললেন ববি উপাচার্য

ববি উপাচার্য প্রসেফর ড. এস এম ইমামুল হক   © টিডিসি ফটো

মহান স্বাধীনতা দিবসে শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে আয়োজিত গার্ডেন পার্টির বিরুদ্ধে মঙ্গলবার দিনভর আন্দোলন করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের এক পর্যায়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির (বিইউডিএস) একটি অনুষ্ঠানে উপাচার্য প্রসেফর ড. এস এম ইমামুল হক বলেন, ‘আজকের এই স্বাধীনতা দিবসে যারা এমন কাজ (আন্দোলন) করে, তারা রাজাকারেরর বাচ্চা ছাড়া কিছুই না। আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি— এরা রাজাকারের বাচ্চা, স্বাধীনতা বিরোধী ছাড়া এই কাজ কেউ করতে পারে না।’

এসময় তিনি ব্যথিত হৃদয়ে বলেন, তোমরা বুঝতেই পারছো, আমার এখানে (বিইউডিএস’র অনুষ্ঠানে) আসার ইচ্ছা ছিল না তবুও এলাম। তোমরা যা করছো তা একজন শিক্ষক হিসেবে আমার কাছে কাম্য নয়। তোমরা নিজেদেরকে শিক্ষকের সমান মনে করো।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে গার্ডেন পার্টির প্রতিবাদে ৫ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা অভিযোগ করেন, প্রতি বছর জাতীয় দিবসগুলোতে চা-চক্র ও সাংস্কৃতিক (গার্ডেন পার্টি) অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন উপাচার্য ড. এস এম ইমামুল হক। অনুষ্ঠানে প্রশাসনের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও উপচার্যের পছন্দের ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে এই অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের কোন অংশগ্রহণ থাকে না। শিক্ষার্থীদের কাছে দিবসের তাৎপর্য বা ইতিহাস তুলে ধরাও হয় না। তাই উপাচার্যের চা-চক্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা।

এসময় শিক্ষার্থীরা ৫ দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে— আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবসসহ সকল জাতীয় দিবসে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা; আজকের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত রাখা; বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক কমিটি শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত হওয়া; টিএসসিকে সাংস্কৃতিক চর্চার জন্য উন্মুক্ত  করা এবং সর্বোচ্চ ৫শ’ টাকা ভাড়া নির্ধারণের মাধ্যমে সামাজিক, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের জন্য কনফারেন্স রুম ব্যবহার করতে দেয়া।