উপাচার্যের ওপর হামলায় জড়িতদের শাস্তি চেয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবেশ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহর ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও র্যালি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন-ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীও অংশ নেন। আজ বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুরে গাজীপুরস্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ডিন অধ্যাপক ড. ফকির রফিকুল আলম সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে অনলাইনে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান। এসময় তিনি বলেন, যারা উপাচার্য ওপর এই ন্যক্কারজনক হামলা করেছে তাদের দ্রুত শাস্তির আওতায় আনা হবে এবং অটোপাশের দাবি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
এ সময় প্রতিবাদ সভার সভাপতি বলেন, উপাচার্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কারে নানা উদ্যোগ নিয়েছেন এবং মাতৃসম বিশ্ববিদ্যালয়টি এগিয়ে যাচ্ছে। এজন্য একটি মহল তার উদ্যোগকে বাধাগ্রস্ত করতে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। আমরা শিক্ষক সমাজ উপাচার্যের সাথে একত্রে থেকে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করবো। আমরা তার কোনো ক্ষতি হতে দেব না।
এ সময় উপস্থিত অন্যান্য বক্তারা উপাচার্যের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। হামলায় দোষীদের খুঁজে বের করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য দাবি জানান।
আরও পড়ুন: নিজ ক্যাম্পাসে হামলার শিকার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য
প্রতিবাদ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন কারিকুলাম উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কেন্দ্রের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবুদ্দারদা, স্নাতকপূর্ব শিক্ষা বিষয়ক স্কুলের ডিন ড. মো. আশেক কবির চৌধুরী, গ্রন্থাগারিক সৈয়দ আফজল হোসেন, একাডেমিক কমিটি, বিজনেস স্টাডিজ গ্রুপের চেয়ারম্যান এস, এম, মুজাহিদুল ইসলাম, আর্টস গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ হাদিউজ্জামান, সোশ্যাল সায়েন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. শায়লা তাসমিনা মাহবুব, ন্যাচারাল সায়েন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান এ. কে. এম. জহিরুল হক প্রমুখ।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অন ক্যাম্পাস অনার্স প্রোগ্রামের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী প্রশান্ত মজুমদার রুদ্র জানান, উপাচার্যের ওপর কয়েক মাস আগেও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে একটি বেনামি চিঠির মাধ্যমে হত্যা হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এভাবে একটি কুচক্রী মহল প্রতিনিয়ত উপাচার্যের নানা উন্নয়নমূলক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করতেই বারবার ভুয়া শিক্ষার্থী পরিচয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হামলা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই ষড়যন্ত্রের দ্রুত থেকে দ্রুততর সময়ে তদন্ত করা প্রয়োজন যাতে উপাচার্যের গৃহীত উন্নয়নমূলক কাজগুলো বাঁধা প্রাপ্ত না হয়। এদিকে, প্রতিবাদ সভা শেষে উপস্থিত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা একটি শান্তিপূর্ণ র্যালি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন।
প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার (২১ মে) ক্যাম্পাসে গিয়ে গাড়ি থেকে নামার সময় স্নাতক (পাস) ২০২২ এর পরীক্ষার্থীরা অটোপাশের দাবিতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহর ওপর হামলা করে। এ হামলার ঘটনায় গাছা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।