১৭ মে ২০২৫, ১৮:৩৮

ইবিতে বিভাগের নাম পরিবর্তনের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি 

বিভাগের নাম পরিবর্তনের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি   © টিডিসি ছবি

বিভাগের নাম পরিবর্তনের এক দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের অন্তর্ভুক্ত আল ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি— বিভাগের নাম পরিবর্তন করে ‘আল ফিকহ এন্ড ল’ করতে হবে। 

শনিবার (১৭ মে) দুপুর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ হোসেন অ্যাকাডেমিক ভবনের নীচ তলায় বিভাগের সামনে এই অবস্থান কর্মসূচির ডাক দেয় শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। 

জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত বিভাগের নাম পরিবর্তন এবং সিলেবাস পরিমার্জন করার দাবি জানালেও বিভাগের শিক্ষকেরা এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ইউজিসির নির্দেশনা অনুযায়ী, তাদের ৩৪০০ নম্বরের আইন কোর্স পড়ানোর কথা থাকলেও আল ফিকহ বিভাগে পড়ানো হয় ২২০০ নম্বরের কোর্স। ১৩৬ ক্রেডিট পড়ানোর কথা থাকলেও তা পড়ানো হয় না। এছাড়া তীব্র সেশনজটে ভুগছেন শিক্ষার্থীরা। এসব সমস্যা নিয়ে বারবার বিভাগে দাবি জানানো হলেও কোনো উন্নতি হয়নি। 

এ ছাড়া, বার কাউন্সিল চাইলে যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজের যেখানেই আইন পড়ানো হয় তার মান তদারকি করতে পারে। তাই ইবির আল ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের নাম পরিবর্তন এবং সিলেবাস সংস্কার করে এলএলবি ডিগ্রির উপযোগী সিলেবাস প্রণয়ন করার দাবি জানান তারা। 

পরবর্তীতে বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ড. নাছির উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সাথে আলোচনা করে নাম পরিবর্তনের বিষয়টি আগামী দুয়েকদিনের মধ্যেই রেজুলেশন আকারে প্রশাসনের কাছে পাঠানো হবে বলে জানান। পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করে।

আরও পড়ুন: রাবির সেই ছাত্রীর দাবি—‘পড়া বুঝতে স্যারের চেম্বারে গিয়েছিলাম’

এর আগে, গত ১ মার্চ শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা না করেই রোজার ছুটি শুরু হওয়ার আগে শেষ কর্ম দিবসে বিভাগের শিক্ষকরা মিটিং করে ধর্মতত্ত্ব অনুষদের মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা বিভাগীয় সভাপতির সাথে দেখা করে সিদ্ধান্তটি বাতিলের দাবি জানায়। বিভাগ থেকে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হবে না বলে জানালে, শিক্ষার্থীরা প্রশাসন ভবনের সামনে এসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। 

পরবর্তীতে ১১ মার্চ আবারো বিভাগের সংস্কার নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়ায় শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষ। একটি পক্ষ বিভাগের নাম পরিবর্তন করে সিলেবাস সংস্কারের দাবিতে এবং অপর পক্ষ বিভাগের স্বতন্ত্রতা রক্ষার্থে প্রশাসন ভবনের সামনে মানববন্ধন করে।