১৩ মার্চ ২০১৯, ১১:৩৯

ছাত্রলীগের হামলার নিন্দা জানালো চবি প্রগতিশীল ছাত্রজোট

ডাকসু নির্বাচনে অনিয়ম ও প্রার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে সুষ্ঠু ও গ্রহনযোগ্য চাকসু নির্বাচন আয়োজনের দাবিতে অনুষ্ঠিত প্রগতিশীল ছাত্রজোট চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখার মিছিলে ছাত্রলীগের হামলার তীব্র নিন্দা ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট চবি শাখা।

বিবৃতিতে জানানো হয়, গতকাল মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় চাকসু প্রাঙ্গন থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে পৌঁছলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে পেছন থেকে অতর্কিত হামলা চালায় ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীরা। হামলায় সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি আবিদ খন্দকার,সাধারণ সম্পাদক সাইমা আখতার নিশু, সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাত মুমু, সদস্য রাজেশ, ওয়াসি, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবা জাহান রুমিসহ ১২/১৩ জন নেতাকর্মী আহত হন। আহত নেতাকর্মীদের তাৎক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে পাঠানো হয় এবং গুরুতর আহত নেতাকর্মীদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

পরবর্তীতে পুলিশি নিরাপত্তায় ছাত্রজোটের নেতাকর্মীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ১নং গেইট এ পৌঁছে দেওয়া হয়। ১নং গেইট থেকে শহরগামী বাসে উঠলে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা ছাত্রজোটের নেতাকর্মীদের অনুসরণ করে এবং ফতেয়াবাদ এলাকায় পৌঁছলে বাস আটকিয়ে জোটের নেতাকর্মীদের উপর ন্যাক্কারজনকভাবে হামলা চালায়।

হামলায় বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, চবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক গৌরচাঁদ ঠাকুর গুরুতর আহত হন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবা জাহান রুমি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আশরাফী নিতু এবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের নেতা ঋজু লক্ষীসহ ৬জন নেতাকর্মীকে পিটিয়ে আহত করা হয়। এছাড়াও হামলায় আহত ছাত্র ফেডারেশনের অং মারমা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার থেকে চিকিৎসা নিয়ে ফেরার সময় ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীদের দ্বারা ২য় দফায় হামলার স্বীকার হন।

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, চবি সংসদের সভাপতি ধীষণ প্রদীপ চাকমা, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি আবিদ খন্দকার, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মির্জা ফখরুল এবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি আইরিন সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির আন্দোলন ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীদের এই ন্যাক্কারজনক হামলা ছাত্রলীগের ঐতিহ্যকে ম্লান করে দিয়েছে। ছাত্রলীগের এই হামলা তার অতীতের ঐতিহাসিক ভূমিকা থেকে সরে এসে ছাত্রস্বার্থের বিপরীত অবস্থানকে নির্দেশ করে। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনকে পেশিশক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে দমনের চেষ্টা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বৈরাচার চর্চার নামান্তর।

ছাত্রজোটের নেতৃবৃন্দ বলেন, ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীদের অতীতের হামলার প্রতিবিধানে কোন প্রশাসনিক ব্যবস্থা না নেওয়ায় তারা বারবার এ ধরণের ন্যাক্কারজনক হামলা চালানোর সাহস পাচ্ছে। নেতৃবৃন্দ প্রশাসনের কাছে হামলার সাথে জড়িত ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে এনে সুষ্ঠুভাবে চাকসু নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানান।