বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের পাশে জবি শিক্ষার্থীরা
সমাজের প্রতিটি শিশুরই আদর, স্নেহ-ভালোবাসা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। কিন্তু প্রতিটি শিশু সমানভাবে স্নেহ-ভালোবাসা পায় না। সুবিধা বঞ্চিত ও পথশিশুরা আমাদের সমাজেরই একটা অংশ। তারা এ সমাজে বাস করলেও এ ভালোবাসা থেকে অনেকটাই দূরে থাকে। কেননা এ সমাজের অধিকাংশ মানুষই মধ্যবিত্ত ও ধনী পরিবারের শিশুদেরকে আদর-সোহাগ করতে বেশি পছন্দ করে থাকে।
বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে সমাজের এই সুবিধা বঞ্চিত ও পথশিশুদের মুখে একটু হাঁসি ফুটাতে, তাদের সাথে একটু ভালোবাসা ভাগাভাগি করতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে সুবিধা বঞ্চিত ও পথশিশুদের মাঝে খাবার, পোষাক ও খেলনার সারঞ্জাম বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর সদসঘাট টার্মিনালের আশপাশের চল্লিশ জন সুবিধাবঞ্চিত ও পথশিশুদের মাঝে এসব উপহার বিতরণ করা হয়।
আশরাফুল ইসলাম তপু ও আরশি শুভর নেতৃত্বে লোক প্রশাসন বিভাগের প্রায় সব ব্যাচের শিক্ষার্থীরাই এ সামাজিক কাজে অংশগ্রহণ করেছে। শিক্ষার্থীরা সুবিধা বঞ্চিত ও পথশিশুদের মাঝে খেলাধুলা প্রতিযোগিতার পড়াশুনার আয়োজন করেছে। সুবিধা বঞ্চিত শিশুরা হেসে-খেলে সবাই খেলায় অংশগ্রহণ করেছে। আবার যে সকল শিশুরা সামান্য পড়ালেখা করতে পারে তারা পড়ালেখার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে। আর সাথে একটু খাবার ও পোশাক পাওয়াতে সুবিধা বঞ্চিত শিশুরা খুশিতে আত্মহারা।
সুবিধা বঞ্চিত শিশু ফারুক জানায়, সব মানুষ আমাদেরকে ভালোবাসে না। আমাদের থাকার মতো কোনো বাড়ি-ঘর নাই, আমরা এই টার্মিনালেই থাকি। আমাদের জামা-কাপড়ও সবসময় থাকেনা। যখন বড় ভাইয়েরা আমাদেরকে খাবার বা জামা-কাপড় দেয় তখন আামাদের অনেক খুশি লাগে। আজও ভাইয়া ও আপুরা আমাদের জন্য খাবার, জামা, খেলনার জন্য অনেক কিছু আনছে। আমরা এগুলো পেয়ে অনেক খুশি হয়েছি।
বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ প্রায় যুবক ছেলেমেয়েরা নিজেদের পারস্পারিক ভালোবাসা দিয়ে ব্যস্ত থাকে। কিন্তু এমন একটি দিনে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদেরকে নিয়ে এমন আয়োজন সম্পর্কে আশরাফুর ইসলাম ঢাকাটাইমসকে বলেন, সুবিধা বঞ্চিত ও পথশিশুদের পাশে দাঁড়ানো সমাজের প্রতিটি মানুষেরই কর্তব্য। আমাদের দায়বদ্ধতা থেকেই আমরা সুবিধা বঞ্চিত ও পথশিশুদের পাশে দাঁড়িয়েছি। তাদের পাশে দাঁড়ানোর অনুভুতিটা সবাই ফিল করতে পারে না। সমাজের প্রতিটি মানুষ যদি তাদের পাশে দাঁড়ায় তাহলে সুবিধা বঞ্চিত শিশুরা আর সুবিধা বঞ্চিত থাকবে না। তারাও এক সময় স্বাবলম্বি হয়ে উঠবে।