দুই সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় প্রক্টরকে অভিযোগ
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই সাংবাদিককে মারধরের ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে প্রক্টর বরাবর অভিযোগ দেয়া হয়েছে। মারধরের শিকার দৈনিক সংবাদ’র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ আল আমিন হোসাইন এবং বাংলাদেশ প্রতিদিন’র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক পৃথকভাবে এ অভিযোগপত্র দায়ের করেন।
অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, গত বছরের (২০১৮) সেপ্টেম্বর মাসে শহীদ মুখতার ইলাহী হলে আবাসিকতার জন্য আবেদন করলে হল প্রশাসন আল আমিন ও সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল ইসলাম বকুলকে ৬০৩ (ঈখ) নং কক্ষে আবাসিকতা প্রদান করেন। এরপর সেই আসনে তারা উঠতে গিয়ে দেখেন যে সেখানে অন্য কেউ দখল করে আছে। এরপর আল আমিন গত মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি, ২০১৯) বাংলাদেশ প্রতিদিনের ক্যাম্পাস প্রতিনিধি সৌম্য সরকারকে সাথে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তুষার কিবরিয়া ও সংশ্লিষ্ট হল সভাপতি হাসান আলীর সাথে সাক্ষাৎ করতে যান এবং তাদের সহযোগিতা চান। ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ তাদেরকে হলের অন্য একটি কক্ষ দেখিয়ে সেখানে উঠতে বলে। তাদের সাথে সাক্ষাৎ শেষ করে হলের তৃতীয় তলায় বাংলাদেশ প্রতিদিন-এর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি সৌম্য সরকারকে অতর্কিতভাবে মারধর করতে করতে সিড়িতে ফেলে দেয় ইংরেজী বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের (৪র্থ ব্যাচ) শিক্ষার্থী এবং বিশ^বিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বিগত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদ-উল-ইসলাম জয়। সৌম্য সরকারকে ফেলে দিয়ে মাহমুদ-উল-ইসলাম জয় আল আমিনের উপরও অতর্কিত হামলা চালায়। তিনি আল আমিনকে তৃতীয় তলা থেকে মারতে মারতে হলের নীচ তলায় নিয়ে এসে আমাকে দফায় দফায় মারধর করে। এসময় আল আমিন চিৎকার করলে মাহমুদ-উল-ইসলাম জয়ের সহযোগি মার্কেটিং বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রাসেল রানা (৭ম ব্যাচ) ও ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের (৯ম ব্যাচ) শিক্ষার্থী মাহফুজ আহমেদসহ কয়েকজন (যাদেরকে চিনতে পারেনি) ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত আল আমিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলা টিপে ধরে তার মুখে, গলায়, চোখে ও মাথায় এলোপাথাড়ি ভাবে আঘাত করতে থাকে। পরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে তাদেরকে হামলাকারীদের কাছ থেকে উদ্ধার করে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে শহীদ মুখতার ইলাহী হলের প্রভোস্ট ফেরদৌস রহমান বলেন, ‘অভিযোগ পত্র পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আবু কালাম মো: ফরিদ উল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটি মৌখিকভাবে শুনেছি এবং অভিযোগপত্রও পেয়েছি। খুব তাড়াতাড়ি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।