ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রীর দাবিতে পাঁচ বিভাগের শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন
- ইবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০১৯, ০৭:১১ PM , আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০১৯, ০৭:৫৮ PM
ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রীর দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জন ঘোষণা করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদভুক্ত পাঁচ বিভাগের শিক্ষার্থীরা। রবিবার সকাল ১১টা থেকে ক্লাস বর্জন করে তারা। পরে বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধন শেষে দাবি আদায়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আগামী ২৯ জানুয়ারী পর্যন্ত আল্টিমেটাম দেয়া তারা।
বিভাগীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১২ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের অধীনে ১১টি বিভাগকে আলাদা করে তিনটি অনুষদে (ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ, বায়োলজিক্যাল সায়েন্স অনুষদ ও বিজ্ঞান অনুষদ) অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
এর মধ্যে ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগ এবং বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগকে ‘ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি’ অনুষদে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
এরপর ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ থেকে ওই পাঁচ বিভাগের শিক্ষার্থীদের ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রীর দেয়ার নিয়ম চালু করে অনুষদ। তবে অনুষদে চলমান ওই পাঁচ বিভাগের অন্যান্য ব্যাচগুলোতে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী প্রদানের কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থীরা।
রবিবার এরই প্রতিবাদে ক্লাস বর্জন, মানববন্ধন কর্মসূচী পালন ও সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় সভাপতি এবং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মমতাজুল ইসলাম বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সায়েম আহমেদ বলেন, ‘আমাদের অনুষদে নতুন বর্ষ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রীর মান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও অন্যান্য ব্যাচগুলোতে এ ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। আমরা চাই সকল ব্যাচগুলোই ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনোলজির মান পাক। এ ব্যাপারে অনুষদকে বিষয়টি বার বার জানালেও তারা কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না বলেই আমরা অনুষদভূক্ত পাঁচ বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী ২৯ জানুয়ারীর মধ্যে আমাদের দাবি না মেনে নেয়া হলে আমরা কঠর কর্মসূচীতে যাব।’
শিক্ষার্থীদের এ দাবির বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মমতাজুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী এ বিষয়ে বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আমাদের কাছে এ ব্যাপারে কোন লিখিত অভিযোগ করেনি। তাদের যদি কোনো দাবি থাকে তাহলে তারা আমাদের কাছে লিখিত জমা দিক। তারপর আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’