জবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল
ওয়ারী থানার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির নেতা মো. শহিদুল হক শহিদের নেতৃত্বে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) সাত শিক্ষার্থীর ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বর থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘যে হাত শিক্ষার্থী মারে, সে হাত ভেঙে দাও’, ‘আমার শিক্ষার্থী ভাইকে মারে, প্রশাসন কী করে’, ‘অবিলম্বে শহিদুলকে গ্রেপ্তার করতে হবে’, ‘হামলাকারীর বিচার চাই, বাঁচার জন্য বিচার চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন। বিক্ষোভ শেষে শিক্ষার্থীরা হামলার প্রতিবাদে বক্তব্য দেন।
ইতিহাস বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী শাহীন মিয়া বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ওপর একের পর এক হামলা চলছে। আমরা জানতে চাই, বিএনপি কী মারকাটের রাজনীতি গ্রহণ করেছে নাকি যারা আগে স্বৈরাচার আমলে অত্যাচার নির্যাতন চালিয়েছে, তাদের শেল্টার দিচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানাই। হামলাকারীর উপযুক্ত শাস্তি চাই।’
আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘যারা আমাদের শিক্ষার্থী ভাইবোনদের জুলুম নির্যাতন করবে, আমরা তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ করবো। যারা আগে মানুষের ওপর অত্যাচার করেছে, তাদের ওপর আল্লাহর লানত নাজিল হয়েছে, তারা উৎখাত হয়েছে। আবারও যদি কেউ তেমনটা করার চেষ্টা করে, তাদের ওপরও আল্লাহর লানত নাজিল হবে। দ্রুত হামলাকারী শহিদুলকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’
ইভান তাহসীভ বলেন, ‘আমরা এখানে কারও সঙ্গে বিরোধ করতে আসিনি, আমরা বিচারের দাবি নিয়ে দাঁড়িয়েছি। গতকাল ধূপখোলায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা হয়েছে, যা আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি করেছে। ৫ আগস্টের পর আমরা যে নিরাপদ পরিবেশ আশা করেছিলাম, তার বিপরীত অবস্থা দেখতে পাচ্ছি। দ্রুত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিচার দাবি করছি।’
উল্লেখ্য, সোমবার (৩ মার্চ) দিবাগত রাতে ঢাকার ধোলাইখালে এক নির্মাণাধীন ঢালাইয়ের ওপর ভুলক্রমে পা দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান সম্রাট ওই এলাকায় যাওয়ার সময় ভুলবশত ঢালাইয়ের ওপর পা রাখেন, যা নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে তার কথা-কাটাকাটি হয় এবং পরে উত্তেজনায় রূপ নেয়। শিক্ষার্থীদের দাবি, বিএনপির নেতা শহিদুল হক শহিদের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়, যেখানে অন্তত সাতজন শিক্ষার্থী আহত হন। আহতদের ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মিটফোর্ড হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।