২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৪:৪৮

সারাদিন ঘেরাওয়ের মধ্যে আছি: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি

অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ  © সংগৃহীত

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ বলেছেন, ‘অনার্স-মাস্টার্স এত দরকার আছে কি না? উত্তরে অনেকেই বলে, দরকার নেই। কিন্তু আমি বন্ধ করব কীভাবে। আমি তো সারাদিন ঘেরাওয়ের ওপর আছি। আমার ধানমন্ডির বাসা ঘেরাও। গাজীপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস ঘেরাও, চেম্বার ঘেরাও, হাইওয়ে ঘেরাও। এখন যদি বলি কলেজ বন্ধ করব, পুরা হাইওয়ে ঘেরাও করে বসে থাকবে।’

আজ মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, ‘গতকাল ছেলে-মেয়েরা অটো পাসের জন্য এসেছিল। তারা বলছে, স্যার আমরা এক সাবজেক্ট ফেল করছি, আমাদের অটো পাস দিতে হবে। তখন আমি বললাম, তোমরা কিছুদিন অপেক্ষা করো, গ্রেস দেওয়া যায় কি না, আমরা দেখব। বলতে না বলতে দেখি সাদা কাগজের মতো পকেট থেকে কী বের করছে। বের করেই দেখি কাফনের কাপড় পরে আমার সামনে শুয়ে আছে।’

আরও পড়ুন: পদত্যাগ করেছেন তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম

তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা খাতা পুনর্মূল্যায়নের ব্যবস্থা ছিল না। শুধু পুনর্নিরীক্ষণের ব্যবস্থা ছিল। পুনর্মূল্যায়নের ব্যবস্থা করার পরে দেখি ৫৪ শতাংশ শিক্ষার্থী নতুন করে পাস করেছে। তাহলে শিক্ষকরা কীভাবে খাতা দেখলাম। সব কিছু একটা এলোমেলো অবস্থার মধ্যে আছে।’

এ এস এম আমানুল্লাহ বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসায় শিক্ষায় ২০০ ছাত্রছাত্রীকে ২ জন শিক্ষক পড়াচ্ছেন, আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩০ জন শিক্ষক। আপনি এখন থেকে আর কী আশা করতে পারেন। এখনো শিক্ষার্থীরা ঠিকে আছে, এখান থেকে প্রায় ৬০-৭০ শতাংশ চাকরি পাচ্ছে। সেটাই তো বেশি।’

নতুন স্বাধীনতার কথা উল্লেখ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, ‘আমাদের ছেলেমেয়েরা নতুন স্বাধীনতা উপহার দিয়েছে। আমাদের ভিশন ও মিশন যদি এবারও ঠিক না করতে পারি। তাহলে তো মুশকিল। আমরা আবার কবে ভিশন ও মিশন ঠিক করব, আমি জানি না।’