তামিরুল মিল্লাত শিবির নেতাকে কোপানোর ঘটনায় ছাত্রদলের ৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

কুয়েটে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ছাত্রদলের সমালোচনা করে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার জেরে তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা টঙ্গী ক্যাম্পাস ছাত্রশিবিরের এক নেতাকে কোপানোর ঘটনায় ছাত্রদলের ৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে ভুক্তভোগী শিবির নেতা ফজলে রাব্বি। আসামীরা হলেন— ফজলে রাব্বি, জুনায়েদ আহম্মেদ মামুন, সামি শিকদার, সাজ্জাদ, নাহিয়ান, রাাশেদ আহম্মেদ, নাবিউল, মাহফুজ।
মামলার ১নং আসামী রাব্বি মাদ্রাসাটির সাবেক ছাত্র ও টঙ্গী পূর্ব থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য, ২নং আসামী মামুন মাদ্রাসার আলিমের ছাত্র ও ছাত্রদল কর্মী। মামলার তিনি মূল আসামী। এদিকে বাকিরাও ছাত্রদল কর্মী বলে জানা গেছে
আজ শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) টঙ্গি পূর্ব থানায় এই মামলা করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টঙ্গি পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম।
তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, ঘটনায় আহত ফজলে রাব্বি বাদী হয়ে ৮ আসামীসহ অজ্ঞাত ৬/৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। ঘটনার মূল আসামী আল মামুনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে পুলিশ।
এদিকে অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, ফজলে রাব্বি টঙ্গী তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার বিজ্ঞান বিভাগের আলিম দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। সম্প্রতি তিনি কুয়েটের সাধারণ ছাত্রদের ওপর ছাত্রদলের হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে একই মাদ্রাসার কয়েকজন শিক্ষার্থী তার ওপর চড়াও হয়।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, গত ২০ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে অভিযুক্তদের একজন তাকে ফোন করে বালাদিন আমিন গেট সংলগ্ন সিএনজি পাম্পে যেতে বলেন। তিনি যেতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে অপহরণের হুমকি দেওয়া হয়। এরপর ভয়ে সেখানে গেলে অভিযুক্তরা তাকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যায়।
ফজলে রাব্বির ভাষ্যমতে, টঙ্গী পূর্ব থানার গাজীপুরা বাঁশপট্টি এলাকার একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে তাকে মারধর করা হয়। তাকে বাঁশের লাঠি দিয়ে পেটানো হয় এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে কিল-ঘুষি মারা হয়। একপর্যায়ে কয়েকজন তার গলায় ছুরি ধরে ঘটনার বিষয়ে কাউকে কিছু না বলার হুমকি দেয়। এমনকি, তার হাতে সিগারেটের ছ্যাঁকা দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী আরও অভিযোগ করেন, ঘটনার একপর্যায়ে ছুরি দিয়ে তার মাথার পেছনে আঘাত করা হয়। তিনি আত্মরক্ষার চেষ্টা করলে তার ডান হাতে গুরুতর জখম হয়। পরে অভিযুক্তরা তার পরিবারের কাছে ১০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
এসময় স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালানোর চেষ্টা করে। পথচারীরা একজন অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পুলিশ ভুক্তভোগী ও আটক অভিযুক্তকে থানায় নিয়ে যায়। তবে পথে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় এক নেতা ও তার সহযোগীরা পুলিশের গাড়ি আটকে ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।