২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:২০

সোহরাওয়ার্দী কলেজের মূল ফটকে পুলিশের অবস্থান

সোহরাওয়ার্দী কলেজের মূল ফটকে পুলিশের অবস্থান
সোহরাওয়ার্দী কলেজের মূল ফটকের পুলিশের অবস্থান  © টিডিসি ফটো

নীলক্ষেত এলাকায় গতকাল রাতে ঘটনায় সায়েন্স ল্যাবসহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবরোধ করার ঘোষণা দিয়েছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থী। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর পুরান ঢাকার সোহরাওয়ার্দী কলেজের ফূল ফটকের বাহিরে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে ১০ টার দিকে তাদের অবস্থান নিতে দেখা যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, কলেজের মূল ফটকের সামনে পুলিশের সদস্যা অবস্থান নিয়েছে। কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে জড়ো হচ্ছেন। ক্যাম্পাস থেকে তাদের কর্মসূচিগুলোতে যেতে চাচ্ছেন। তবে পুলিশের উপস্থিতি থাকায় শিক্ষার্থীরা এখনো পুরোপুরি জড়ো হতে পারেননি।

এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদের বাসভবন অবরোধের জন্য আন্দোলনরত সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নীলক্ষেত সংলগ্ন প্রবেশ পথের বাইরে অবস্থান করলে ভেতরে অবস্থান নেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে দু পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটছে। 

সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সাত কলেজের সমস্যা ও ভর্তির আসন সংখ্যা কমানোর বিষয়ে ঢাবির প্রো-ভিসি (শিক্ষা) কাছে গেলে তিনি অশোভন আচরণ করে রুম থেকে বের করে দেন। তিনি বলেন, সাত কলেজের বিষয়ে কিছু জানেন না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্র জানায়, দুই পক্ষের এই সংঘর্ষ শুরুর আগে রাত ১০টার দিকে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদকে ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করতে বলেছিল। তবে তিনি সে সময় সেটা করেননি। যদিও ড. মামুন রাত ১২টার দিকে শিক্ষার্থীদের দু’পক্ষ সংর্ঘষ জড়ানোর পর অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য এক ভিডিও বার্তা আন্তরিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করেছেন।

সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, রাত ১০টার দিকে তিনি এই দুঃখপ্রকাশ করলে দু’পক্ষ সংর্ঘষ জড়ানো এড়ানো যেত। তার এই দূরদর্শিতার অভাবে সংর্ঘষ বড় ধরনের রূপ নেয়।