২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:২৯

এবার রবি শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়  © সংগৃহীত

প্রতিষ্ঠার আট বছরেও স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের কোনো কার্যক্রম বা বরাদ্দ না আসায় টানা আন্দোলনে নেমেছেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এরই ধারাবাহিকতায় এবার ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে আন্দোলনের পর রাত সাড়ে ৮টার দিকে পরদিনের কর্মসূচি চলাকালীন ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে তারা বিভিন্ন বিভাগে তালা দেন।

জানা যায়, স্থায়ী ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার দাবিতে মঙ্গলবার থেকেই মানববন্ধন ও ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে ঢাকা-পাবনা-বগুড়া মহাসড়কে কয়েক কিলোমিটারে যানজট সৃষ্টি হয়।

শিক্ষার্থীরা জানান, ‘প্রশাসন বারবার শুধু আমাদের আশ্বাসই জানিয়ে আসছে। ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার বিষয়ে দৃষ্টিগত এখনো কিছু করতে পারেনি। উপরন্তু হল না থাকায় আবাসন সংকটের পাশাপাশি মহিলা কলেজ ও কমিউনিটি সেন্টারে ক্লাস চলায় আমরা একাডেমিকভাবেও ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। আমাদের শ্রেণিকক্ষ সংকট প্রচুর।’

স্থায়ী ক্যাম্পাসের কার্যক্রমের বিষয়ে সাংবাদিকদের দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম হাসান তালুকদার জানান, ‘স্থায়ী ক্যাম্পাসের ৯ হাজার ২০০ কোটি টাকার প্রজেক্ট জমা দেওয়া হলেও সরকারের পরামর্শে তা বারবার সংকুচিত করতে করতে দীর্ঘ সময় ব্যয় হয়েছে। সর্বশেষ প্রায় ৬০০ কোটি টাকার প্রজেক্ট সাবমিট করা হয়েছে, যা ইউজিসি হয়ে পরিকল্পনা কমিশনে গিয়েছে। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের বাজেট পাবে কি না তা আগামী ২৮ জানুয়ারির সভায় জানা যাবে।’

এদিকে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে স্থায়ী ক্যাম্পাস চাই দাবিতে মানববন্ধন করে স্থানীয় ছাত্রসমাজ। এতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৮ মে বিশ্বকবির ১৫৪তম জন্মবার্ষিকীতে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৫ সালের ১১ মে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়,বাংলাদেশ আইন, ২০১৫’-এর খসড়া অনুমোদন পাওয়ার পর ২০১৭ সালের ২৬ জুলাই সংসদে পাস হয় ‘রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় আইন’।

বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ঢাবির আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম হাসান তালুকদার।