বেরোবির বঙ্গবন্ধু হলের পানিতে কেঁচো

বেরোবি লোগো এবং পানিতে পাওয়া কেঁচো
বেরোবি লোগো এবং পানিতে পাওয়া কেঁচো  © টিডিসি ফটো

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের পানির লাইনে কেঁচো দেখা গেছে। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন আবাসিক শিক্ষার্থীরা। যদিও হলের প্রভোস্ট আমির শরীফের দাবি, 'কেঁচো নিচ থেকে এসেছে। আমরা পানির ট্যাঙ্কি গত নভেম্বরে পরিষ্কার করেছি। পানি পরিষ্কার ছিল।'

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) হলের রিডিং রুমের এক শিক্ষার্থী পানি পান করতে এসে ট্যাপের মধ্যে কেঁচো দেখতে পান। শিক্ষার্থীরা বিষয়টিকে হল প্রশাসনের উদাসীনতা ও দীর্ঘদিন ধরে ট্যাঙ্কি পরিষ্কার না করাকে দায়ী করেছেন। 

তাদের অভিযোগ, নতুন করে অতিরিক্ত পাইপ লাগানোর কারণে পানির মধ্যে কালো রঙের মরিচা ও ময়লা পাওয়া যাচ্ছে।  খাবার সুপেয় পানির জন্য ফিল্টার দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে পানি পান করতে এসে কেঁচো পাওয়া রিডিং রুমের শিক্ষার্থী কমলারন্জন কেষ্টা বলেন, মূলত পানির ট্যাংক দীর্ঘদিন অপরিষ্কার রাখা এবং পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার গাফিলতির কারণে এমন হয়েছে। খাবার সুপেয় পানির জন্য প্রতি ফ্লোরে দুটি করে ফিল্টার লাগানো প্রয়োজন।

ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী গোলাম জাকারিয়া বলেন, 'সকাল বেলা ঘুম ভেঙ্গে দেখি কেষ্ট দাদা রুমে কড়া নাড়লেন জাকারিয়া দেখো পানিতে কি পেয়েছি, তাকিয়েই দেখি পানির মধ্যে বিশাল বড় কেঁচোসহ বেশ কিছু ছোট ছোট পোকা। আবাক দৃষ্টিতে দাদা আমার দিকে তাকিয়ে আছেন।  এর আগেও এমন পোকা পাওয়া গেছে। তৎকালীন প্রভোস্ট স্যারকে বলে পানির ট্যাংক পরিস্কার করে নিয়েছিলাম। তবে জুলাই বিপ্লবের পর নতুন প্রভোস্ট স্যারকে  কয়েক দফা পানির সমস্যা সহ অন্যান্য সমস্যার কথা বললেও তিনি হলের ব্যাপারে কোন দৃষ্টি দেননি। স্যারকে হলের বিষয়ে ফোন দিলে বলে আমাকে হলের বিষয়ে কোন ফোন দিতে পারবে না।'

রিডিং রুমে আলো স্বল্পতার অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, 'হলের উন্নয়নের জন্য পর্যাপ্ত বাজেট নেই। এসব দ্বায় প্রভোস্ট স্যার কোন ভাবে এড়াতে পারেন না। আমরা শিক্ষার্থীরা আশা করি হলের সকল সমস্যা সমাধান হবে'


সর্বশেষ সংবাদ