ছাত্রলীগ নেতা মামুনসহ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ইবি প্রশাসনের মামলা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) প্রশাসন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) প্রশাসন  © টিডিসি ফটো

নিষিদ্ধ ঘোষিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি মামুন অর রশিদ ও অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) প্রশাসন।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান। 

অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামীর সন্ত্রাসী মূলক কর্মকাণ্ড কে কেন্দ্র করে তার বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া সদর থানার মামলা নং-৩১, জিআর নং-৩৯০/২৪, তাং- ৩০/১০/২০২৪ খ্রি:, ধারা-১৪৩/ ৩২৪/৩২৬/৩০৭/৫০৬(২)/১১৪ পেনাল কোড ১৮৬০ রুজু হয় এবং উল্লিখিত মামলায় উক্ত আসামি বিজ্ঞ আদালত হতে ৭ জানুয়ারি তারিখে জামিন প্রাপ্ত হয়। সে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের সদস্য হওয়ায় এবং বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতির কারণে তাকে আপাতত পরীক্ষা দিতে না আসার জন্য বলা সত্ত্বেও আসামি সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্র মূলক ভাবে এবং তার সংগঠনের অজ্ঞাতনামা সদস্যদের প্ররোচনায় ও ষড়যন্ত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার শান্ত পরিবেশ কে অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে ১৩ তারিখ সকাল অনুমান ০৯ ঘটিকার সময় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থায় প্রশাসন অনুষদের ৩১৫ নং কক্ষে এম.বি.এ মান উন্নয়ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আসে এবং পরীক্ষার হলে প্রবেশ করে। 

অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, অভিযুক্ত আসামি বিগত ৫ আগস্টের পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ে হল বাণিজ্য সহ সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন নিপীড়ন করতো মর্মে বিভিন্ন অভিযোগ থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা ও সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা ক্ষীপ্ত হয়ে তাকে মারধর করতে উদ্ধত হয়। আসামি মামুন অর রশিদ বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় সদস্য হওয়ায় এবং তার সংগঠনের অজ্ঞাতনামা অন্যান্য সদস্যদের প্ররোচনায় ও ষড়যন্ত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে নিষেধ করা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে এসে বিশ্ববিদ্যালয় কে পরিকল্পিত ভাবে অস্থিতিশীল ও অশান্ত করার চেষ্টার করে। 

পরবর্তীতে ৮/১০/১২ সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ (সংশোধনী ২০১৩) অনুযায়ী নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্য হয়ে তার সংগঠনের অজ্ঞাতনামা অন্যান্য সদস্যদের সহায়তা ও প্ররোচনায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত পরিবেশ অশান্ত করার চেষ্টা করার অপরাধে ইবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মামুন কে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়।

এ বিষয়ে ইবি থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মেহেদী হাসান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এজাহার দায়ের করা হয়েছে এবং বিধি মোতাবেক মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। ইতঃপূর্বেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে থানায় সোপর্দ করে যাওয়ায় এবং তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু হওয়ায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। এটা জামিন অযোগ্য মামলা, তার বিরুদ্ধে এখন স্বাভাবিক নিয়মে তদন্ত কার্যক্রম চলবে।


সর্বশেষ সংবাদ