তিন লাখ টাকায় ভর্তি মেরিটাইম ইউনিভার্সিটিতে— প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
গত ১৪ ডিসেম্বর ‘দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসে’ প্রকাশিত ‘পরীক্ষায় চান্স না পেয়েও তিন লাখ টাকায় ভর্তি মেরিটাইম ইউনিভার্সিটিতে!’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। এতে বলা হয়, ‘২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) ১ম বর্ষ ভর্তি প্রক্রিয়া শেষে গত ১০ মার্চ ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ওরিয়েন্টেশনের কিট তালিকা ও ক্লাস অ্যাটেনডেন্স শিট প্রকাশ করা হয়। এতে দেখা দেখা যায়, বিবিএ ও এলএলবি প্রোগ্রামে এমন কয়েকজন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন, যারা প্রকাশিত মেধা তালিকা বা ওয়েটিং লিস্টে ছিলেন না।’
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশর জনসংযোগ এবং তথ্য দপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মাইনুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
এতে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান) ১ম বর্ষে ভর্তি বাণিজ্য সংক্রান্ত বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভুল, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়। এতে বলা হয়, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ভর্তি পরীক্ষা নীতিমালা অনুসারে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পরে প্রকাশিত মেরিট এবং ওয়েটিং লিস্ট অনুযায়ী যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। এর ধারাবাহিকতা অনুযায়ী ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষের ক্লাস গত ১১ মার্চ শুরু হয়।’
এতে আরও বলা হয়, ‘একই সময়ে পুরাতন স্বনামধন্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হলে ২০২৪ সালের ৩০ এপ্রিলের মধ্যে অনেক শিক্ষার্থী অত্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভর্তি বাতিল করে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যায়। ফলে বিদ্যমান প্রোগ্রামসমূহে অনেক সিট ফাঁকা থেকে যায়। এমতাবস্থায়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ১ম ওয়েটিং লিস্ট থেকে সকল শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগ করে সিট ফাঁকা থাকা সাপেক্ষে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করার চেষ্টা করে। এতেও বিভিন্ন প্রোগ্রামে অল্পসংখ্যক সিট ফাঁকা থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ২য় ওয়েটিং লিস্ট থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি করে।’
প্রতিবাদে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘সংবাদে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড মেরিন বায়োটেকনোলজি বিভাগের যে অধ্যাপকের বিবৃতি উদ্ধৃতি করা হয়েছে তা উক্ত অধ্যাপক অস্বীকার করেছেন এবং এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, মনগড়া ও বানোয়াট বলে উল্লেখ করেছেন।’
প্রতিবেদকের বক্তব্য:
সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য এবং যথাযথ প্রমাণ সাপেক্ষে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে সব পক্ষেরই বক্তব্য সংযুক্ত করা হয়েছে। ওয়েটিং লিস্ট সম্পর্কিত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বক্তব্য উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এছাড়াও একাধিকবার লিখিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রারের কাছে এ বিষয়ে বক্তব্য চাওয়া হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হন নি। প্রতিবাদলিপিতে প্রতিবেদনের অভিযোগের বিষয়গুলো নিয়েও কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি।