২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭:৪১

ইবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানিসহ একাধিক অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে

সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলাম  © সংগৃহীত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উন্নয়ন অধ্যয়ন সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে সমকামিতায় বাধ্য করা, শিক্ষার্থীদের হেনস্তা ও যৌন হয়রানির অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে অভিযোগের এই সত্যতার প্রমাণ পেয়েছে। আজ রবিবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬৬তম সিন্ডিকেট সভায় এই শিক্ষকের বিষয়ে যেকোন সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানা গেছে।

প্রমাণ পাওয়া অভিযোগ সমূহ হলো- কথার অবাধ্য হলে শিক্ষার্থীদের ইন্টারনাল নাম্বার কম দেওয়া, দাড়ি থাকলে শিবির ট্যাগ দিয়ে হেনস্তা, ক্লাসে মেয়েদের জামা কাপড় নিয়ে কথা বলা ও মেয়েদের নর্তকী, পতিতা, বাজারের মেয়ে বলে গালিগালাজ করা, ইচ্ছাকৃতভাবে ফলাফল খারাপ,  ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সেই সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের হেনস্তা ও যৌন হয়রানিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। 

এর আগে একই অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাকে চাকরিচ্যুত করার দাবিতে বিক্ষোভ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটে অভিযুক্ত শিক্ষক হাফিজের কুশপুত্তলিকা টাঙিয়ে জুতা নিক্ষেপ এবং আগুনে পুড়িয়ে দেয় বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

এছাড়াও, গত ৭ অক্টোবর ২৭ দফা অভিযোগ তুলে অপসারণের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক আটকে ঘন্টাব্যাপী বিক্ষোভ করেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। পরে তারা উপাচার্যের কাছে লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ করলে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ইবি উপাচার্য। তদন্ত চলাকালে ২৩ অক্টোবর তাকে বিভাগীয় সকল কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
 
তদন্ত কমিটি সূত্রে জানা যায়, হাফিজের বিরুদ্ধে শারীরিক, মানসিক ও যৌন হয়রানি সহ শিক্ষার্থীরা যেকয়টি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে তার অধিকাংশের ই সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সত্যতা পাওয়া যায়নি। তদন্ত কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোড অব কন্ডাক্ট অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করেছে।

তদন্ত কমিটির আহবায়ক অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী মোস্তফা আরিফ বলেন, আমরা যথাযথ প্রক্রিয়ায় তদন্ত কার্যক্রম শেষ করেছি। গতকাল রেজিস্ট্রারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। ভিসি স্যারের সাথেও দেখা করেছি। আজকে সিন্ডিকেটে সিদ্ধান্ত হবে কিনা বা তার কেমন শাস্তি হবে সে ব্যাপারে প্রশাসন সিদ্ধান নেবে, আমি কিছু বলতে পারছি না।