১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:৪২

শিক্ষার্থী হত্যা ও নরেন্দ্র মোদির টুইটের প্রতিবাদে তিতুমীর কলেজে মশাল মিছিল

মশাল মিছিল  © টিডিসি ফটো

বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তব্যের প্রতিবাদে কুশপুত্তলিকা দাহ ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হত্যার বিচারের দাবিতে মশাল মিছিল করেছে রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা।

আজ বুধবার (১৮ ডিসেম্বর), বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কলেজের প্রধান ফটক থেকে মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি টিবি গেইট ঘুরে কলেজের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে শেষ হয়। 

এ সময় শিক্ষার্থীরাদের ভারতীয় আগ্রাসন বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেন ‘ভারতের আগ্রাসন মানি না, মানব না’, ‘দিল্লি না ঢাকা? ঢাকা, ঢাকা’, ‘মোদির দুই গালে জুতা মারো তালে তালে’ ইত্যাদি।

শিক্ষার্থীরা জানান, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক বিজয় সেখানে ভারতকে একক ভাবে উল্লেখ্য করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের ছোট করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমাদের দেশ আমরা স্বাধীন করেছি, বিজয় আমাদের। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তার এমন বক্তব্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনকে ছোট করা হয়েছে।

তারা আরও বলেন, সম্প্রতি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী হত্যার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্তদের বিচার করতে হবে। 

এর আগে, নরেন্দ্র মোদি তাঁর এক্স হ্যান্ডলে ইংরেজিতে যা লিখেছেন সেটির বাংলা দাঁড়ায় এমন— ‘আজ, বিজয় দিবসে, আমরা সেই সাহসী সৈনিকদের সাহস ও আত্মত্যাগকে সম্মান জানাই, যাঁরা ১৯৭১ সালে ভারতের ঐতিহাসিক বিজয়ে অবদান রেখেছিলেন। 

তাঁদের নিঃস্বার্থ নিষ্ঠা এবং অটল সংকল্প আমাদের দেশকে সুরক্ষিত করেছে এবং আমাদের গৌরব বৃদ্ধি করেছে। দিনটি তাঁদের অসামান্য বীরত্ব এবং অবিচল আত্মার প্রতি একটি শ্রদ্ধাঞ্জলি। তাঁদের আত্মত্যাগ চিরকাল প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে এবং আমাদের জাতির ইতিহাসে গভীরভাবে অমর হয়ে থাকবে।’

প্রসঙ্গত, গত ১২ ডিসেম্বর ভোরে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাজবির হোসেন শিহানকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। 

এছাড়াও একই দিন নারায়ণগঞ্জে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আহত হন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সীমান্ত। এর দুই দিন পর ১৪ ডিসেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।