১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২:৪৫

‘ঠিকানা’র ধাক্কায় শিক্ষার্থীর মা আহত, ঢাকা কলেজে আটকে রাখা হল ৩ বাস

  © টিডিসি ফটো

ঢাকা কলেজের অ্যাকাউন্টিং বিভাগের (২০১৯-২০) সেশনের শিক্ষার্থী সালেহ জুবায়েরের মা বাসের ধাক্কায় আহত হওয়ার ঘটনায় ‘ঠিকানা পরিবহন’ এর তিনটি বাস আটক করেছে একদল শিক্ষার্থী। এতে বাস কর্তৃপক্ষের কাছে দুই লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেন তারা। আজ রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) আনুমানিক রাতে কলেজের সামনে থেকে বাসগুলো আটক করে নায়েমের গলিতে রাখা হয়।

ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী সালেহ জুবায়ের বলেন, গত ৫ ডিসেম্বর আনুমানিক বিকালে নীলক্ষেত মোড় থেকে মায়ের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এ সময় বাসে উঠতে গেলে ধাক্কা লেগে আমার মা পড়ে যায় এবং হাতের ওপর দিয়ে বাসের চাকা ওঠে যাওয়ায় মাংস ছিড়ে হাড় বের হয়ে যায়। এতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিলেও বর্তমানে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিচ্ছি। ডাক্তার জানিয়েছেন সুস্থ হতে ২ লাখ টাকা মতো খরচ হতে পারে। 

তিনি আরও বলেন, এতদিন পরীক্ষাসহ মায়ের চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় ব্যবস্থা নিতে পারিনি। আজ বাস আটক করেছি এবং আমার মায়ের চিকিৎসার জন্য যত খরচ লাগে সবটুকু বাস মালিক কতৃপক্ষকে বহন করার দাবি জানাচ্ছি। এতদিন বক্সে করে কলেজের ডিপার্টমেন্ট গুলোতে সাহায্যের জন্য জানিয়েছি।

ভুক্তভোগী লুৎফুর নাহার বলেন, গত ৫ ডিসেম্বর নীলক্ষেত মোড় থেকে বাসে উঠতে গেলে ধাক্কা লেগে আমি পড়ে যায়। এ সময় গাড়ির চাকা আমার ডান হাতের ওপর দিয়ে গেলে মাংস ছিড়ে যায়। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি। চিকিৎসক জানিয়েছেন সুস্থ হতে ২ লাখ টাকার মতো ব্যয় হবে।

দায়িত্বরত নিউমার্কেট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল ওমর বলেন, আমরা তো বাস আটকানোর সময় ছিলাম না। ঠিকানা পরিবহনের লোকজন থানায় গিয়েছিল পরে আমি নায়েমের গলিতে এসে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের সাথে কথাবার্তা বললাম। শুনলাম যে গত ৫ ডিসেম্বর ঠিকানা পরিবহনের দুইটি বাসের রেষারেষিতে নীলক্ষেত ক্রসিংয়ে একটি দুঘর্টনায় একজন মহিলা আহত হয়েছেন। তিনি এখন চিকিৎসাধীন আছেন। তার ছেলে এবং ছেলের বন্ধুরা ৩ টি বাস আটকানোর পরে তারা বলতেছে তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

ঘটনা মিমাংসায় ঠিকানা পরিবহনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা  বলেন, ৫ ডিসেম্বরের ঘটনা। ঠিকানা পরিবহনের কোন বাস ঘটনা ঘটিয়েছে সেই বাসের নাম্বার কেউ বলতে পারছে না। দুই লক্ষ টাকা দিতে বলছেন উনারা। এত টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়াটা কঠিন। আমাদের বেতনই গত কয়েকমাস থেকে দেয়নি। 

এ বিষয়ে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস বলেন, ঘটনাটি আগে আমাদেরকে জানায়নি। আমি ওই (জুবায়ের) শিক্ষার্থীকে আজকে বলেছি, আটক হওয়া গাড়িগুলো পুলিশের মাধ্যমে মালিক সমিতিকে বুঝায় দিতে। আর কিছু হলে আগে কলেজ প্রশাসনকে জানাতে হবে, আমরা ব্যবস্থা নিবো।