জুলাই বিপ্লব উদযাপনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বসবে ‘তারুণ্যের মেলা’
দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তারুণ্যের প্রতীক ৩৬ জুলাই-কে সবার মধ্যে তুলে ধরতে তারুণ্যের মেলা আয়োজনের নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই মেলা আয়োজনের পাশাপাশি, ফ্যাসিবাদবিরোধী কার্যক্রমের তথ্যচিত্র প্রদর্শন এবং আলোচনা সভারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) সঙ্গে সমন্বয় করে মাসব্যাপী ইয়ুথ ফেস্টিভ্যাল আয়োজনের লক্ষ্যে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালককে এ বিষয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চারটি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
নির্দেশনাগুলো নিম্নরূপ:
১. আওতাধীন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে প্রতিদিন শ্রেণিকার্যক্রম চলাকালীন একটি নির্দিষ্ট সময়ে শ্রেণিকক্ষসহ নিজস্ব প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
২. জুলাই বিপ্লবকে অর্থবহ করতে তারুণ্যের প্রতীক ৩৬ জুলাইকে সবার মধ্যে তুলে ধরার লক্ষ্যে সব প্রতিষ্ঠানে সুবিধাজনক সময়ে তারুণ্য মেলা আয়োজন করতে হবে। মেলায় জুলাই বিপ্লবের প্রেক্ষাপট ও ফ্যাসিবাদী কার্যক্রমের তথ্যচিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে তুলে ধরতে হবে এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী ব্যক্তিদের নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে হবে।
৩. তরুণদের উদ্ভাবনী ও উদ্যোক্তা কর্মী হিসেবে গড়ে তুলতে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের সফল উদ্যোক্তা ব্যক্তিদের জীবন ও সফলতার গল্প সপ্তাহে একদিন শ্রেণিচলাকালীন কোনো এক নির্দিষ্ট সময়ে শিক্ষার্থীদের নিকট তুলে ধরতে হবে।
৪. পলিথিন-প্লাস্টিক বর্জন ও পরিবেশ সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে সবাইকে সচেতন করার লক্ষ্যে শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সমন্বয়ে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সমাবেশ করতে হবে।