০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩:৩১

ভারতে হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

তিতুমীর কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ  © টিডিসি ফটো

ভারতের আগরতলাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাই কমিশনে হামলার প্রতিবাদ এবং ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেন তিতুমীর কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে টিভি গেট হয়ে ক্যাম্পাসে প্রধান ফটকে এসে শেষ হয়।

এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন 'হাইকমিশনে হামলা কেন? দিল্লি তুই জবাব দে; 'গোলামি না আজাদি, আজাদি আজাদি; 'ভারতীয় আগ্রাসন,ভেঙ্গে দাও গড়িয়ে দাও; 'ঢাকা না দিল্লি, ঢাকা ঢাকা; 'আপোষ না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম; ' দালালি না রাজপথ? রাজপথ রাজপথ; 'ভারতের বিরুদ্ধে, ডাইরেক অ্যাকশন; 'ভারতীয় আগ্রাসন, মানি না মানবো না; 'দিয়েছি তো রক্ত, আরও দিবো রক্ত; ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

এ বিষিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সমন্বায়ক নীরব হাসান সুজন বলেন, “আপনারা জানেন, গতকাল আগরতলা অবস্থিত বাংলাদেশ হাই-কমিশনার হামলা করা হয়েছে। এর আগে পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বাংলাদেশ শান্তি রক্ষা মিশনের বাহিনী পাঠানো প্রয়োজন। আমি বলতে চাই, শান্তি রক্ষা বাহিনী বাংলাদেশে পাথানো প্রয়োজন নই।শান্তি রক্ষা বাহিনী আপনার দেশে পাঠানো প্রয়োজন। বাংলাদেশের সেনা বাহিনী বিশ্বের প্রত্যেকটি দেশে শান্তি রক্ষার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ভারতের মিজুরামে সংখ্যালঘুদের কি ভাবে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে , মা বোনদের দশন ও খুন করেছে। কীভাবে ভারতের মুসলমানদের উপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে। কীভাবে বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। ভারতের গরুর গোস্তো খাওয়া জন্য,  কীভাবে মেরে ফেলা হয়েছে। আমরা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, মুসলিম ও পাহাড়ি সবাই বাংলাদেশি। 

ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী মিনহাজ বলেন, আমাদের চব্বিশে জুলাই বিল্পবের অনেকেই শহিদ হয়েছিল, গণহত্যা করা হয়েছিল, তখন ভারত একটা বিবৃতি দেয় নাই। ছাত্রদের পক্ষে কোনো কথা বলে নাই। কিন্তু যখন একজন ব্যক্তি অপরাধী ছিল, আইনের আওতায় আনা হয়েছিল। তখনই তারা বাংলাদেশকে উগ্রবাদী আশানুরূপ সম্পর্ক রাখছে না। ভারত বাংলাদেশের প্রতিবেশী রাষ্ট্র। প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে যতটুকু সম্পর্ক রাখা প্রয়োজন তা রাখা উচিত। যদি সুসম্পর্ক না রাখতে চাই, তাহলে চরম মূল্য দিতে হবে। 

উল্লেখ্য, গত সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী  উপ-হাইকমিশনে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হাইকমিশনের সামনে হিন্দু সংগ্রাম সমিতি আয়োজিত একটি সভায় এমন ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।