২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৮:৩৯

মোল্লা কলেজে হামলার দায় নিলেন না সোহরাওয়ার্দী-কবি নজরুলের অধ্যক্ষ

সংবাদ সম্মেলন  © সংগৃহীত

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুরান ঢাকার সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও সরকারি কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রায় ৩ ঘণ্টার সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আজ সোমবার (২৫ নভেম্বর) বেলা ১২টা থেকে মোল্লা কলেজের সামনে চলা এ সংঘর্ষে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। তাদেরকে নেওয়া হয়েছে ঢাকা মেডিকেল, ন্যাশনাল মেডিকেলসহ বিভিন্ন হাসপাতালে।

এ ঘটনার পর সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজের অধ্যক্ষ সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, যারা ড.মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হামলা করতে বের হয়েছে তারা আমাদের কোনো শিক্ষার্থী নয়।

জানা যায়, আজ সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে কবি নজরুলের সামনে জড়ো হতে থাকেন সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুলের শিক্ষার্থীরা। বেলা ১০টার দিকে তারা লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান করে নজরুল কলেজের দিকে। সেখান থেকে দুই কলেজের শিক্ষার্থীরা এক হয়ে রওনা দেন ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের দিকে। এসময় শিক্ষার্থীরা ‘মোল্লার চামড়া, তুলে নেব আমরা’ ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম-সংগ্রাম’ এমন স্লোগান দিতে দেখা যায় ।

এর আগে গতকাল রবিবার (২৪ নভেম্বর) ‘সুপার সানডে’ ঘোষণা করে ডা. মাহাবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে ও রাজধানীর প্রায় ৩৫টির মতো কলেজ মিলে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের উপর হামলা করে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এরই প্রতিবাদে ‘মেগা মানডে’ ঘোষণা করে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দীর শিক্ষার্থীরা। 

আজ বেলা ১১টার দিকে কবি নজরুল কলেজের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে মোল্লা কলেজের দিকে রওনা হন দুই কলেজের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী।

এদিকে শিক্ষার্থীরা বের হয়ে যাওয়ার পর, সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ ড. কাকলি মুখোপাধ্যায় ‘কুকুরকে কামড়ানো কি আমাদের শোভা পায়’ বলে দায় এড়িয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, আমরা শান্তিপ্রিয় ক্যাম্পাস চাই। যারা  প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করবে,লুটপাট করবে,সন্ত্রাসী হামলা চালাবে তারা আমাদের ছাত্র হতে পারে না।

এ বিষয়ে কবি নজরুল কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, যারা সন্ত্রাসী হামলা, লুটপাট-ভাঙচুর করবে তারা আমাদের ছাত্র হতে পারে না। কবি নজরুলের যারা মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হামলা করবে তাদের দায়  কলেজ প্রশাসন নেবে না।