আগামীকালের মধ্যে সংকট সমাধান জরুরি: সোহরাওয়ার্দী কলেজ প্রশাসন
ভুল চিকিৎসায় ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে অবস্থিত ডক্টর মাহাবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের (ডিএমআরসি) এইচএসসি শিক্ষার্থী অভিজিত হাওলাদারের মৃত্যুর ঘটনায় পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল হাসপাতাল ঘেরাও করা বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কবি নজরুল কলেজ ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে ব্যাপক ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সশ্লিষ্টদের সাহায্য চাওয়া হলেও তা পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ তুলেছে সোহরাওয়ার্দী কলেজ প্রশাসন। এর ফলে কলেজের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এই ঘটনায় উদ্ভূত সংকট সমাধানে আগামীকালের (২৫ নভেম্বর) মধ্যে সবাইকে আলোচনায় বসতে দাবি জানিয়েছে কলেজটির প্রশাসনের দায়িত্ব থাকা ব্যক্তিরা।
আজ রবিবার (২৪ নভেম্বর) রাতে সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কাকলী মুখোপাধ্যায় স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুপুর ১.১৫ মিনিটে সোহরাওয়ার্দী কলেজে প্রথম বর্ষ সমাপনী পরীক্ষা চলাকালীন ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের সহস্রাধিক ছাত্রের একটি দল অতর্কিত সোহরাওয়ার্দী কলেজের প্রধান ফটক ভেঙে ছাত্র, শিক্ষক ও কর্মচারীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।
উত্তেজিত ছাত্ররা কলেজের ১৭টি বিভাগে ভাঙচুর করে এবং পরীক্ষার্থীদের আহত করে বের করে দেয়। ক্যাম্পাসে প্রাঙ্গণে থাকা অ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেট কারসহ ৫টি যানবাহন ভাঙচুর ও কলেজের গুরুত্বপূর্ণ নথি এবং বিভাগের আলমারি ভেঙে নগদ অর্থ লুট করা হয়। এছাড়াও সকল বিভাগ ও শ্রেণিকক্ষের আসবাবপত্র, ফ্যান, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, প্রিন্টার গুরুত্বপূর্ণ নথি যেমন শিক্ষার্থীদের রক্ষিত মার্কশিট, সনদ, ভর্তি ফরমের কপি তছনছ করে।
এ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অধ্যক্ষ অভিযোগ করেন, হামলা চলাকালীন সময়ে পুলিশ প্রশাসন এবং সেনাবাহিনীকে ফোন দিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি। পরীক্ষার বিষয়ে মাউশির ডিজি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের সাহায্য চাওয়া হলেও পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, হামলা পরবর্তী সময়ে ডা. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের অধ্যক্ষকে একাধিকবার ফোন করা হলেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে, আগামীকাল ২৫ তারিখের মধ্যে কলেজের শিক্ষক, ছাত্র প্রতিনিধি, পুলিশের ডিসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ড. মাহাবুব রহমানের মোল্লা কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসে উদ্ভূত পরিস্থিতির সমাধান চাওয়া হয়।